চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহকদের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা তোলা বন্ধ রাখতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কিছু গ্রাহক প্রয়োজন ছাড়াই তাদের আমানতের টাকা তুলে অন্য ব্যাংকে জমা করছেন, যার ফলে কিছু ব্যাংক টাকার সংকটে পড়ছে। একযোগে অনেক গ্রাহক টাকা তুললে কোনো ব্যাংকই স্থিতিশীল থাকতে পারে না, এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মুখপাত্র আরও বলেন, ব্যাংকগুলোতে কোনো আতঙ্কের কারণ নেই এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক খাতকে সুস্থ অবস্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য সুপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি ব্যাংকগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আস্থা ফেরানোর কথা বলেন এবং জানান, যেসব ব্যাংক সমস্যা মোকাবেলা করছে, সেগুলোর পর্ষদে ইতিমধ্যে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পাশাপাশি, গত দেড় মাসে ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক খাতের উন্নয়নে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে, যা কাজ করছে। তিনি বলেন, পাচার করা অর্থ ফেরত আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের আইনজীবী ও পরামর্শক নিয়োগের কাজ চলছে।
অন্যদিকে, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠিত হয়েছে। আগামীতে আরও ৪টি ব্যাংকের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে।
অর্থ পাচার সম্পর্কে তিনি জানান, বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাচার হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদন্ত করবে, তবে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার কঠিন, কিন্তু বিএফআইইউ এ বিষয়ে কাজ করছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিনি জানান, সুদের হার বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে এবং আগামী ছয় মাসে এটি ৬ শতাংশের কাছাকাছি নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।