পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর বাউফলে গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শৌলা গ্রামের মজিদ মুন্সির ছেলে রিয়াজ মুন্সী (৫০) অন্যের গরু পালন করেন। গরুর জন্য জমিতে ঘাস সংরক্ষণ করে রাখেন। তার জমির ঘাস খেয়ে ফেলেন একই গ্রামের সেকান্দার মাতব্বরের ছেলে মহসিন মাতব্বরের ( ৫৫) গরু।
এনিয়ে গত শনিবার রিয়াজ ও মহসিনের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার দুপুর দিকে মহসিন মাতব্বর লোকজন নিয়ে রিয়াজ মুন্সীর বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন। এতে উভয় পক্ষের ৫জন আহত হয়।
আহতরা হলেন- রিয়াজ মুন্সী (৫০),তার স্ত্রী জেসমিন(৩৫) ও তার মেয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া(১৫), মহসিন মাতব্বরের স্ত্রী শাহনাজ(৩৫) ও তার ছেলে মেহেদি (২৪)।
রিয়াজ মুন্সী অভিযোগ করে বলেন, আমি অন্যের গরু বর্গা পালন করি। গরুর জন্য এক বছরের চুক্তিতে জমি কিনে সেই জমিতে ঘাস চাষ করি। মহসিন মাতব্বর ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে আমার জমির ঘাস তার গরু দিয়ে খাইয়ে ফেলেন। একাধিক বার প্রতিবাদ করেছি। প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করার হুমকি দেয় মহসিন ও তার ছেলেরা। ঘটনার দিন (সোমবার) দুপুরে মহসিন দলবেধে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার ও আমার স্ত্রীর ওপর হামলা করেন। আমাকে ও আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। পরে আমার মেয়েও মারধর করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে মহসিন মাতব্বর বলেন,‘ আমার ভাইয়ের সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলছে। ভাই অন্য মানুষ দিয়ে আমার স্ত্রী ও সন্তানের ওপর হামলা করিয়েছেন।
এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাউফল থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো: আতিকুল ইসলাম।