শিরোনাম

বাউফলে তেঁতুলিয়া নদীতে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি

Views: 57

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বাউফলে বছরের পর বছর ধরে ভাঙছে তেঁতুলিয়া নদীর দুপাড়। এতে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। অথচ এই ভাঙনকবলিত এলাকা থেকেই প্রভাবশালীরা দেদারে বালু ও মাটি কেটে ব্যবসা করছেন। আর এ কারণে ভাঙনের মাত্রা বেড়েছে কয়েক গুণ।

চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরব্যারেট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীর তলদেশ থেকে আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে বালু তুলছেন কয়েক প্রভাবশালী। অপরদিকে ধুলিয়া ইউনিয়নের বাসুদেবপাশা এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করছেন স্থানীয় কয়েক প্রভাবশালী।

আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রয় শুরু

সূত্র জানায়, তেঁতুলিয়া নদীর চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন, নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদী, নিমদী, কচুয়া ও ধুলিয়া ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে এসব এলাকার বালুমহাল ইজারা বন্ধ রয়েছে। শুধু বাউফল-দশমিনা সীমান্তবর্তী বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর ডুবোচরে বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তেঁতুলিয়া নদীর কোনো পয়েন্টে বালুমহাল নেই। বালুমহাল না থাকার পরেও চরব্যারেট এলাকা থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে বাণিজ্যিকভাবে বালু তোলা হচ্ছে।

একাধিক ব্যক্তি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বালু তুলছেন ভোলার বোরহানউদ্দিনের প্রভাবশালী নেতা। বিশালাকৃতির ৩টি ড্রেজার দিয়ে ২৪ ঘণ্টা ধরে এ কাজ করছেন তার লোকেরা। আর অবৈধভাবে তোলা বালু বিক্রির লাভের একটি অংশ পাচ্ছেন বাউফলের কয়েক প্রভাবশালী নেতা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ৩টি ড্রেজার দিয়ে অবিরত বালু তোলার কাজ চলছে। এ সময় তেঁতুলিয়ার চরব্যারেট এলাকার কয়েক কিলোমিটারজুড়ে অপেক্ষায় রয়েছে সারি সারি বালু পরিবহণের বাল্কহেড (জাহাজ)।

আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, ডেকে নিয়ে প্রেমিককে খুন করেন স্বামী

এ বিষয় অভিযুক্ত মোসারেফ হোসেন বলেন, বালু তোলার সঙ্গে তিনি জড়িত নন।

ইউএনও মো. বশির গাজী বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকায় মাটি ও বালু কাটার সুযোগ নেই। শিগগিরই অভিযান চালিয়ে মাটি ও বালু কাটা বন্ধ করা হবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *