শিরোনাম

বাউফলে প্রধান শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

Views: 34

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর বাউফলের দাশপাড়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বখতিয়ার উদ্দীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে পাওয়া তিনটি অভিযোগের বিষয় তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলা প্রশাসনের পাঠানো পৃথক দুইটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এরআগে রবিবার রাতে দুইটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. বশির গাজী।

একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, প্রধান শিক্ষক মো. বখতিয়ার উদ্দীনের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটি গঠন সংক্রান্ত প্রবিধানমালার বিভিন্ন ধারা ও উপধারায় তিনটি অভিযোগ করা হয়েছে এবং এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। অসন্তোষজনক উদ্ভূত জরুরি পরিস্থিতিতে বর্ণিত প্রবিধান অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

অপর প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, অভিযোগের তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটিতে এসিল্যান্ড প্রতীক কুমার কুন্ডুকে আহ্বায়ক, উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার নুরনবীকে সদস্য সচিব এবং উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহকে সদস্য করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের অনুরোধও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।

এদিকে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফাতেমা বেগম অভিযোগ করেন, তার পুত্রবধূকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য কয়েক ধাপে ৯ লাখ টাকা ঘুষ নেন প্রধান শিক্ষক বখতিয়ার উদ্দীন। ২০১৭ সালে টাকা নিলেও এখনও চাকরি দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে তিনি আদালতে মামলাও করেছেন। তিনি ছাড়াও এলাকার একাধিক ব্যক্তিকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২৭ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন এই প্রধান শিক্ষক। এসব ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান আছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে দাশপাড়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সদ্য বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক মো. বখতিয়ার উদ্দীন জানান, উপজেলা প্রশাসনের তদন্ত চলমান তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবেন না তিনি।

ঘুষ লেনদেন ও এ সংক্রান্ত মামলার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই টাকা আমি ধার নিয়েছিলাম। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলায় আমি দোষী প্রমাণিত হলে দোষী, নির্দোষ হলে নির্দোষ।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *