মো:আল-আমিন, পটুয়াখালী : জেলার বাউফলে বিদ্যালয়ের অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক পরিবারের সদস্য ওই বিদ্যালয়ে ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। উপজেলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ। অভিযুক্ত মোঃ সুলতান আহমেদ কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা বিষয়ক শিক্ষক।
জানা গেছে, কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্রে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ব্যাপরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে তদন্ত শুরু হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। ওই প্রতিবেদনের জন্য শিশু সাংবাদিক মুনতাসির তাসরিপকে দায়ী করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার সকালে শিশু সাংবাদিক মুনতাসিরের চাচা রহমত আলী সুজন তার ছেলে সাইমুনকে নিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি করতে ওই বিদ্যালয়ে আসেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক সুলতান আহমেদ তাকে ভর্তি করেননি।
এ বিষয়ে রহমত আলী বলেন, আমি ওই স্কুলের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবেদনের ব্যপারে কিছু জানতাম না। আমার ভাইয়ের ছেলে এই স্কুলের ছাত্র ছিল, তাই আমি তার নাম বলেছি। আর তাতেই ক্ষেপে গিয়ে কাগজপত্র ছুরে ফেলে দেন সুলতান স্যার।
অভিযুক্ত শিক্ষক সুলতান আহম্মেদ বলেন, আমাকে প্রধান শিক্ষক মুনতাসিরের কোন আত্মীয় স্বজন ভর্তি করতে নিষেধ করেছেন। তাই আমি ভর্তি করিনি।
প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী শিরিন বলেন, ওই ছেলের সাথে কি হয়েছে আমি তা জানি না। এমন কোন নির্দেশ আমি দেইনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।