শিরোনাম

বাউফলে বাঁশের সাঁকোই শেষ ভরসা ৪ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর

Views: 411

মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী) :  বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদের ধারাবাহিকতায় গ্রাম পর্যায়েও পৌঁছে গেছে শহরের সুবিধা। কিন্তু পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের (৬নং ওয়ার্ড) দেওপাশা  ও মান্দারবন গ্রামে এলে উন্নয়নের এ দৃশ্য মেলানো কঠিন হয়ে যায়। কেননা আজও এই দুই গ্রামের মাঝে সেতু বন্ধন হিসেবে আছে একটি বাঁশের সাঁকো। যা দিয়ে পারাপারে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ শতশত মানুষ। তবে এজন্য এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যকার দলীয় কোন্দলের কারণেই বাউফলের কাংখিত  উন্নয়ন হচ্ছে না।

এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে ওই খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানালেও তা আমলে নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্টজনেরা। প্রায় ৬০-৭০ বছর ধরেই উন্নয়ন ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত ও অবহেলিত ওই এলাকার মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই এলাকার ‘মিয়া’ খালে ব্রিজ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দেওপাশা-বান্দরবন গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার। দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামবাসীরা মিলে কোনো রকম একটি অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াত করছে ।

বর্তমানে বাঁশের সাঁকোটি যাতায়াতের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ও মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ওই এলাকা থেকে আনারকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্ব কাছিপাড়া দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা, সহিদ জ্বালাল সঃ প্রাঃ বিঃ ও কাছিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র পথ।

ওই এলাকার নজরুল খান বলেন, ছোট্ট একটি আয়রন ব্রিজ হলেই আমরা নিরাপদে চলাচল করতে পারি। কিন্তু এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে।

কাছিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এলাকাবাসী দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শিগগিরই পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ বিষয় পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) লতিফ হোসেন জানান, জনসাধারণের সুবিধার্থে অতি দ্রুত সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।

image_pdfimage_print

One thought on “বাউফলে বাঁশের সাঁকোই শেষ ভরসা ৪ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *