পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের চন্দনবাড়িয়া গ্রামে হাতুড়িপেটায় আহত পরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের(৩৫) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ জুলাই) রাতে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় মামলা করেছেন নিহতের বড় ভাই শেখর চন্দ্র বিশ্বাস। গত শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় পরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার চন্দনবাড়িয়া গ্রামের পরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের সঙ্গে একই গ্রামের মো. ফারুক সিকদারের (৪৮) জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। গত বুধবার (১০ জুলাই) সকালে পরেশ চন্দ্র বিশ্বাস চন্দনবাড়িয়া গ্রামে তার জমি চাষ করতে যান। ওই সময় মো. ফারুক সিকদার (৪৮) নেতৃত্বে একটি দল ওই জমি চাষে বাঁধা দেয় এবং তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে তাকে লোহার হাতুড়ি ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরেশের চিৎকারে তার স্ত্রী পলাশী বিশ্বাস ও ভাইয়ের স্ত্রী মানবিকা বিশ্বাস এগিয়ে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে ওইদিনই তাদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে পরেশের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরেশের মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন : দুমকিতে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বড় ভাই শেখর চন্দ্র বিশ্বাস বাদী হয়ে ফারুক সিকদারকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরও ৬ জনের নামে রবিবার রাতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ফারুক সিকদার পলাতক থাকায় থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ‘মারধরের ঘটনার পর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তা করেননি। তৎক্ষণাৎ মামলা করলে আসামিরা পালাতে পারত না। এরপরেও পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আশা করছি খুব কম সময়ের মধ্যে আসামিরা গ্রেপ্তার হবে।