মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর বাউফলে সেতু নির্মাণের সাত বছর হয়ে গেছে। কিন্তু এর দু’পাশে কোনো সড়ক নেই। ফলে সেতুটি কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এতে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হলেও সেতুটি উপকারে আসছে না এলাকাবাসীর।
সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মল্লিকডুবা বাজারের দক্ষিণ পাশে মল্লিকডুবা-ভরিপাশা গ্রামের সীমানা খাল। খালের পশ্চিম মাথায় উত্তর-দক্ষিণমুখী সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর দক্ষিণ পাশে পুরোপুরি ফাঁকা, বন-জঙ্গলে ভরা। নেই কোনো পথের অস্তিত্ব। সেতু থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে নুরাইপুর-ভরিপাশা পাকা সড়ক রয়েছে। আর সেতুর উত্তর পাশে মানুষ চলাচলের উপযোগী সরু মাটির কাঁচা রাস্তা রয়েছে। যা যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। ওই মাটির রাস্তা দেড় কিলোমিটার দুরে কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের কাছে গিয়ে পাকা সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সেতু নির্মাণ করা হলেও সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। এজন্য সেতুটি কোনো ভাবেই ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই বিকল্প বেশি দূরত্বের পথ দিয়ে চলাচল করা হয়ে থাকে।
মো. মজিব হাওলাদার বলেন, সড়কের অভাবে গাড়ি চলতে পারে না। আমাদের বিকল্প বেশি দূরত্বে পথে চলাচল করতে হয়।
মো. আনোয়ার খলিফা বলেন, এই সেতু নির্মাণ করা সরকারের টাকা অপচায় ছাড়াই কিছু না। সেতুটি দিয়ে মানুষ কিংবা যানবাহন কখনো চলাচল করেনি। মাত্র সাত বছরে সেতুটির ঢালাইয়ের ইট-সুরকি খসে পড়ছে, রড বেরিয়ে গেছে। তিনি নিম্নমানের কাজের জন্য ঠিকাদার ও তদারক কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট প্রকল্পের আওতায় ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ৩৬ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট প্রশস্ত এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয়েছে ২৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এমনটা হলে তা খুবই দুঃখজনক। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।