চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ডজন প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কমেছে।
জনগণের জন্য ডিম সাশ্রয়ী করতে সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়ে ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জারি করা এক আদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, এই শুল্ক ছাড় ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
কাওরান বাজারের ঢাকা পোল্ট্রির মালিক কাওসার আহমেদ বলেন, সরকারি উদ্যোগে বাজারে ডিমের সরবরাহ বেড়েছে, যার কারণে দাম কমেছে। তিনি আরও বলেন, আজ পাইকারি পর্যায়ে প্রতি শত ডিম বিক্রি করছি ১ হাজার ১০১ টাকায়। গতকাল দাম ছিল ১ হাজার ১৭০ টাকা থেকে ১ হাজার ১৮০ টাকা।
কাওসার জানান, আজ প্রতি ডজন ডিম পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩২ টাকা ১২ পয়সায়, যা গতকাল ছিল ১৪১ টাকা ৬০ পয়সা।
ঢাকার বাসিন্দা আবু সুফিয়ান জানান, তিনি আজ খিলগাঁও তালতলা বাজার থেকে এক ডজন ফার্মের ডিম কিনেছেন ১৫০ টাকায়, যা দুদিন আগে ছিল ১৮০ টাকা।
সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে তিনি সরকারের তদারকি কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানান।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার বলেন, তিনি পশ্চিম শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজার ও তালতলা কাঁচাবাজারে অভিযান চালিয়ে দেখেছেন ডিমের দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের কাছাকাছি।
সরকার নির্ধারিত মূল্যের আওতায় প্রতিটি ডিম উৎপাদক পর্যায়ে ১০.৫৮ টাকা, পাইকারি ১১.০১ টাকা এবং খুচরা ১১.৮৭ টাকায় বিক্রি করতে হবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রিটেইল চেইন সুপারশপ স্বপ্নে প্রতিটি খুচরা ডিমের দাম ১১.৬৭ টাকা।
এদিকে সরবরাহ বাড়াতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে ঢাকার প্রধান দুই পাইকারি বাজার তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। গতকাল কাপ্তান বাজারে ডিম সরবরাহ শুরু করেছে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। এই উদ্যোগের মূল সমন্বয়কারী বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল।
প্রাথমিকভাবে ঢাকায় এ কার্যক্রম শুরু হলেও এর প্রভাব পুরো দেশে পড়বে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।