পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: মসজিদের জমি দখলের প্রতিবাদ করায় উল্টো হয়রাানিসহ চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পটুয়াখালীর মো. মাসুদুজ্জামান কাজল।
রোববার (৩০ জুলাই) পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মামলা থেকে প্রতিকার চেয়ে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাসুদুজ্জামান কাজল জানান, পটুয়াখালী পৌর শহরের আরামবাগ এলাকায় মসজিদ নির্মাণের জন্য সাড়ে ১০ শতাংশ জমি দান করেন তার বাবা আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ মিয়া। ১৯৮৫ সালে ওই জমির উপর আরামবাগ বাইতুল রেদোয়ান জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সালে ঐ মসজিদের নির্মানাধীন টয়লেট নিজেদের দাবি করে জমি দখলের পায়তারা করেন প্রতিবেশী গাজী সাঈদ ও তার জামাতা আবু সালেহ।
আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে বঙ্গোপসাগর উত্তাল – ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
পরে জমি দখলে বাধা দিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা করে তাকে হয়রানি করছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি বা মসজিদ কমিটির কারো সঙ্গে কথা না বলেই তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে।
ভুক্তভোগি কাজল আরও জানান, বিষয়টির সমাধানের জন্য স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার সালিশ বৈঠকের আয়োজন করলেও ক্ষমতা এবং টাকার জোরে প্রতিপক্ষরা বার বার পার পেয়ে যায়। এসব বিষয় নিয়ে লিখিত ভাবে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি।
একাধিক মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে কাজলের। সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষ থেকে আসছে একের পর এক হুমকি দেয়ার অভিযোগও করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানার জন্য প্রতিপক্ষ আবু সালেহর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।