চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের অপসারণ ইস্যুতে বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবে ১২ দলীয় জোট। একই ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টিতে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ চায় গণ-অধিকার পরিষদ। গতকাল রবিবার জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকের পর এ অবস্থানের কথা জানিয়েছে জোট ও পরিষদ। বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, আরিফ সোহেল, উমামা ফাতেমা ও আবদুল হান্নান মাসউদ। জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষে ছিলেন নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী, সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব।
ছিলেন সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, রবিউল ইসলাম, সহ আইন সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ।
এর আগে গত শনিবার বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক হয়। জামায়াতের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বৈঠক করেন গত শুক্রবার। এসব বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় রাষ্ট্রপতির অপসারণ বিষয়ে নৈতিকভাবে একমত হওয়া। এ ছাড়া সংবিধান বাতিল ও প্রক্লেমেশন অব সেকেন্ড রিপাবলিক ঘোষণার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
‘শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই’- রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের এমন বক্তব্যের পর তাকে অপসারণে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন। সরকারও নানা তৎপরতা চালায়। কিন্তু এতে সাংবিধানিক সংকট হতে পারে- এমন আশঙ্কা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলীয় অবস্থান ব্যক্ত করে বিএনপি। এরপরই জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিতে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেন।