চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : কোটা সংস্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি প্রাণঘাতী গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৪ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
হাইকোর্ট বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
আইনজীবীরা বলেছেন, পিআরবিতে বলা আছে, গুলি করার আগে পুলিশকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। জীবন রক্ষার্থে সর্বশেষ ধাপ হিসেবে পুলিশ গুলি করতে পারবেন। তবে নির্বিচারে গুলি করা যাবে না।
এর আগে গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি একটি রিট করেন। এই রিটে ‘আন্দোলনকারী বা বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় নামার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তাদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি না চালানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে রিটে কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত নেওয়াকে বেআইনি উল্লেখ করে তাদের মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়।
একপর্যায়ে সোমবার ও মঙ্গলবার এই রিটের আংশিক শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করা হয়। মঙ্গলবার শুনানিতে দুই বিচারপতির হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, সমস্ত মৃত্যুই আমাদের জন্য দুঃখজনক। আমরা এমন কোন কাজ করব না, যাতে জাতির ক্ষতি হয়।
তবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের অপর বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন অসুস্থতার কারণে ছুটি নেওয়ায় দ্বৈত বেঞ্চ বসেনি। কেবলমাত্র বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের একক বেঞ্চ পরিচালনা করেন বলে জানান বেঞ্চ অফিসার রেজাউল করিম। এর মধ্যে ছয়জন আন্দোলনকারীকে ছেড়ে দিয়েছে ডিবি পুলিশ।