চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আনুমানিক প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এই তথ্য শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে কিছু অর্ডার প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।” এছাড়াও, তিনি উল্লেখ করেন যে, আগস্টে মার্কিন পোশাক আমদানি বেড়েছে ১.৫%, তবে বাংলাদেশ থেকে আমদানি কমেছে ৩.৮%।
রফিকুল ইসলাম আরও জানান, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ইউরোপে আমদানি বেড়েছে ৩.৩%, যেখানে বাংলাদেশ থেকে আমদানি বেড়েছে মাত্র ২.৮%। অন্যদিকে, ভারত, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি জানান, “পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জিং সময় পেরিয়ে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে।” সরকার, মালিক, শ্রমিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে বিজিএমইএ বোর্ড প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে এবং ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
সিকিউরিটির জন্য সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যা পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে। আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে বিজিএমইএ অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে।
অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি পোশাক কারখানা সেপ্টেম্বর মাসের বেতন দিতে পারছে না। এসব কারখানার বেতন পরিশোধ নিশ্চিত করতে সহজ শর্তে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
এছাড়া, পোশাক শিল্পের ৪০ লাখ শ্রমিকের জন্য ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কর্মসূচি চালু করা হয়েছে, যা গত ১৬ অক্টোবর উদ্বোধন করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।