পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বিদেশি প্রকৌশল নির্ভরতা কমাতে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের দুই দিনব্যাপী বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে একের পর এক গড়ে উঠছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। তবে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বেশিরভাগই বিদেশি প্রকৌশলী নির্ভর। তাই দেশের প্রকৌশলীদের পাওয়ার প্ল্যান্ট ভিত্তিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
চীন ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত যৌথ এ প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে রবি ও সোমবার দুই দিনব্যাপী বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হয় পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এতে অংশ নেন কুয়েটের তড়িৎ এবং যান্ত্রিক অনুষদের চতুর্থ বর্ষের ৫০ শিক্ষার্থী ও ৬ শিক্ষক।
এসময় পাওয়ার প্ল্যান্টের বয়লার চেম্বার, কয়লার ব্যবহার এবং কয়লা খালাসের জেটিসহ কন্ট্রোল রুমে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ঘুরে দেখানো হয় প্রশিক্ষণার্থীদের। শেখানো হয় পাওয়ার প্ল্যান্ট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক বিষয়গুলো। সরাসরি পাওয়ার প্ল্যান্ট চালানোর এমন প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। তবে আগামী দিনেও প্রশিক্ষণের এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দাবি তাদের।
আরো পড়ুন : কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায় দাবদাহের প্রভাব – বাতিল হচ্ছে বুকিং
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জাহানারা বলেন, ‘এতদিন আমরা আসলে বইয়ে পড়েছি। এখন সরাসরি পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবকিছু ঘুরে দেখলাম। এখানে এসে নতুন করে অনেক কিছু শিখেছি। যা ভবিষ্যতে আমার কাজে দেবে।’
বাংলাদেশ-চায়না কোম্পানি লিমিটেডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আবদুল হাসিব বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে তত্ত্বীয় জ্ঞানের পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পর্কিত বাস্তবিক জ্ঞান, ধারণা লাভ করে এবং ভবিষ্যতে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র ও আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠে; তাই এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এছাড়া দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে নিজস্ব মানবসম্পদ বিনির্মাণে এ ধরনের কর্মশালা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’