পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বিদ্যুৎ উৎপাদনে সর্ম্পূনরুপে প্রস্তুত পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ডিসেম্বরের মধ্যে এ কেন্দ্র থেকে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংযুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রীডে। সে লক্ষে চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। এটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের জন্য এটি মাইলফলক বলে মনে করছেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
২০১৯ সালে চীনের রাষ্ট্রয়ত্ব প্রতিষ্ঠান নোরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রয়ত্ব প্রতিষ্ঠান রুরাল পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেডের যৌথ বিনিয়োগে পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মান কাজ শুরু হয়। পটুয়াখালীর ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে ৯১৫ একর জমির উপর ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরে নির্মান কাজ শুরু করা হয়।
করোনাসহ নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে টারবাইন, চুল্লি, কোল স্টোর, স্টিল স্টাকচার, বয়লার ও জেনারেটর বসানোর কাজ।
আরো পড়ুন : বাবার দেয়া মসজিদের জমি রক্ষার প্রতিবাদ করায় হয়রানিসহ মামলা
দ্রুত গতিতে চলছে কনষ্ট্রাকশন ও রংয়ের কাজ। ৪ হাজার বাঙ্গালী ও দেড় হাজার চীনা শ্রমিক নির্মান কাজ করছেন। ইতোমধ্যে বয়লারে ফায়ারিংও করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে বিদুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত এ পাওয়ার প্লান্ট। সুইচিং স্টেশনের কাজও ৯২ ভাগ শেষ।
বর্তমানে শেষ পর্যায়ের টেস্টিং ও কমিশনিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। জুলাই মাসে ব্যাক ফিড পাওয়ার পেলে সেপ্টেম্বরের প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট ও ডিসেম্বরে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সংযুক্ত করতে চায় প্রকল্পটি।
এ প্রকল্প থেকে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ যোগ হলে লোড শেডিং অনেকটা কমবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।