মোবাইল ফোনে আলাপের মাধ্যমে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান বাগেরহাটের মাধুরী বিশ্বাস (৩৬) এবং পটুয়াখালীর যুবক বিধান দাস (২৫)। সম্পর্ক গভীর হওয়ার পর বিয়ের দাবিতে মাধুরী তার সাত বছরের মেয়েকে নিয়ে বিধানের কাছে পটুয়াখালী চলে যান। কিন্তু বিধান তাদের হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
গত ২৮ নভেম্বর মাধুরী তার মেয়ে শ্রেষ্ঠাকে নিয়ে খুলনা থেকে বরিশাল পৌঁছান এবং বিধানের সঙ্গে একটি হোটেলে ওঠেন। বিধান তখন পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকার অজুহাতে পটুয়াখালী চলে যান। পরে মাধুরীকে পটুয়াখালী আসতে বলেন। সেখান থেকে একসঙ্গে ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চে রওনা হওয়ার সময় তিনি মাধুরী ও তার মেয়েকে বিষ মেশানো পানি খাইয়ে হত্যা করেন।
৪ ডিসেম্বর, দশমিনা বাজার থেকে কীটনাশক সংগ্রহ করেন বিধান। ঢাকার লঞ্চে রওনার সময় পানির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে মা-মেয়েকে খাইয়ে দেন। পরদিন লঞ্চ সদরঘাটে পৌঁছালে তিনি তাদের ফেলে পালিয়ে যান।
এক পথচারী তাদের অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মেয়ে শ্রেষ্ঠা গোপালগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ ডিসেম্বর মারা যায়।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থেকে বিধানকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে বিধান হত্যার দায় স্বীকার করেন।
ডিএমপি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “বিধান একটি বাল্কহেডের শ্রমিক। সম্পর্কের গভীরতার পর মাধুরী বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি এই পরিকল্পনা করেন।”
মাধুরীর বড় ভাই নারায়ণ বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়। তদন্তের মাধ্যমে ঘটনাটি হত্যায় পরিণত হয়েছে বলে প্রমাণ মেলে।