বরিশাল অফিস:: বৈশাখের তাপদাহে গত কয়েক দিনে হিটস্ট্রোকে বরিশাল জেলার ১ হাজার ৬০৮টি পোল্ট্রি খামারে ৫ সহস্রাধিক ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি মারা গেছে।
বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন পোল্ট্রি খামার মালিকদের সংগঠনের নেতা কালাম শিকদার। এ কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খামারিরা।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী চলতি মাসের গত সাত দিনে বরিশালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। এ কারণে বরিশাল জেলার ৬১৭টি ব্রয়লার মুরগির খামার, লেয়ার মুরগির ৫৩৫টি, সোনালী মুরগির ৪৫৬টি খামারের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে হিটস্ট্রোকে বরিশাল নগরীসহ জেলার বিভিন্ন খামারে ৫ সহস্রাধিক মুরগি মারা গেছে। এর মধ্যে বরিশাল নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার মোস্তফা পোল্ট্রি ফিডের ৫০০ মুরগি, সিকদার পোল্ট্রি ফিডের ২০০, শহিদ পোল্ট্রি ফিডের ১০০ মুরগিসহ জেলার বিভিন্ন খামারে হিটস্ট্রোকে মুরগি মারা গেছে। তবে খুচরা ও পাইকারী বাজারে মুরগির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু ক্রেতা কম।
নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার খামারী মোস্তফা জানান, প্রচণ্ড গরমে তারসহ আশপাশের খামারে মুরগি মারা যাচ্ছে। গত কয়েক দিনে হিটস্ট্রোকে ৫০০ মুরগি মারা গেছে। যে মুরগিগুলো বেঁচে রয়েছে তাও অসুস্থ।
বরিশাল বিভাগীয় প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের পরিচালক ডা. আবু সুফিয়ান বলেন, বরিশালের সব মাঠ কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা খামারীদের বার বার পানি স্প্রে ও চট ভিজিয়ে ফ্লোরে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। গরমে মুরগি মৃত্যুর খবর তিনি অবগত নন বলে জানান তিনি।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক বশির আহমেদ জানিয়েছেন, চলতি মাসে তাপমাত্রা হ্রাসের সম্ভাবনা নেই। মাঝে মধ্যে হালকা বৃষ্টি হলে সাময়িকভাবে কিছু সময়ের জন্য তাপমাত্রা কমতে পারে।