শিরোনাম

বৃষ্টি হলেই ভোলায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে জলাবদ্ধতা

Views: 36

ভোলা প্রতিনিধি: বৃষ্টি হলেই ভোলার লালমোহন উপজেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের প্রবেশ পথে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এত ভোগান্তিতে পড়েন সেবা নিতে আসা মানুষজন। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি থেকে বরে হচ্ছে পচা দুর্গন্ধ। আবার এ পচা পানিতে জন্ম নিচ্ছে মশা। মাঝে-মধ্যে ছুটে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে সাপও। আর এ পানি মাড়িয়ে হাসপাতালে আসতে হচ্ছে চিকিৎসক, রোগী ও স্বজনদের।

রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে শিশু, কিশোর-কিশোরী, গর্ভবতী সেবা, প্রসব সেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে সামনের অংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে থাকায় পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ পানি মাড়িয়ে দৈনিক দেড় থেকে ২ শতাধিক সেবা প্রত্যাশী আসছেন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে। দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা এ সমস্যার সমাধানে কোনো উদ্যোগ না দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও স্বজনরা।

লালমোহন উপজেলার কালমা জহুরা বেগম জানান, তিনি সন্তানসম্ভবা ছেলে বউকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। কিন্তু অসুস্থ রোগীকে নিয়ে পচা পানি মাড়িয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন। পানির পচা গন্ধ ও ময়লা থাকায় তাদের পা চুলকাচ্ছে বলেও দাবি করেন।

বদর-পুর ইউনিয়ন থেকে আসা রোগীর স্বজন নাজমা ও শিরিন বেগম জানান, তারা লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে তাদের সন্তানদের নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছেন। কিন্তু পানির মধ্যে সাপ দেখে তারা ভয়ে দৌড়ে ভেতরে যান। এতে তাদের পোশাক ভিজে গেছে।

লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. সিরাজুল ইসলাম, আমির হোসেনসহ কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির পানি জমে আছে। অথচ কোনো পদক্ষেপ নেই। মানুষ অনেক কষ্ট করে এখানে সেবা নিতে আসছেন। বর্তমানে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি। আর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সামনেই পানিতে মশা জন্ম নিচ্ছে। কোনো পদক্ষেপ না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।

লালমোহন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল কর্মকর্তা (এমসিএইচএফপি) এবং ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অমিত কর্মকার   জানান, বৃষ্টি হলেই বেশ কিছুদিন জলাবদ্ধতা থাকে আবার কমে যায়। এতে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। মূলত এখানে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি এটি দ্রুত সমাধান হবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *