আর কয়েকদিন পরেই দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্রিকস সম্মেলন। পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় শুরুর আগেই গণমাধ্যমে শিরোনাম হচ্ছে এই সম্মেলন। শুরুতেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অংশগ্রহণ নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছিল। কেননা আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে তাঁর বিরুদ্ধে। সশরীরে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকার মধ্য দিয়ে আপাততঃ একটা সুরাহা হয়েছে। নতুন আর একটি বিষয়, ডলারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরগরম গণমাধ্যম। যেহেতু একডজনের বেশি দেশ নতুন যুক্ত হচ্ছে এবারের সম্মেলনে এবং আরও অনেক দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্রদের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে দেশগুলোর মধ্যে বানিজ্যিক বিনিময়ে ডলারের পরিবর্তে বিকল্প মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে। এসব কিছু নিয়েই আজকের আয়োজন লিখেছেন মোহাম্মদ খান।
মোট ১৩টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকস জোটে যোগদানের জন্য তাদের আবেদন জমা দিয়েছে। ব্লকে আরও দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা বিশ্ব অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে এমন ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপটের একটি দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন হতে পারে। উন্নয়নশীল দেশগুলির লক্ষ্য মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরতা শেষ করা এবং তাদের স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করা। ব্রিকস জোটে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করা এক ডজন বা তারও বেশি দেশ ইঙ্গিত দেয় যে মার্কিন ডলার বিপদের মধ্যে রয়েছে।
শুধু তাই নয়, আরও ২২টি দেশ এই জোটে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো আবেদন করেনি। অন্যান্য দেশগুলি এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে এসেছে। ASEAN, SCO দেশগুলি এবং GCC দেশগুলিও মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরতা কমানোর কথা ভাবছে৷
আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে ১৩টি দেশকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত আসন্ন BRICS শীর্ষ সম্মেলন যা ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হবে সেখানে নেয়া হবে।
BRICS হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সংক্ষিপ্ত রূপ৷
সবমিলিয়ে বলা চলে, মার্কিন ডলারের ভাগ্য নির্ভর করে BRICS অন্যান্য দেশের সাথে বিশ্ব বাণিজ্য কতটা ভালোভাবে পরিচালনা করে তার উপর। যদি তাদের দেশীয় মুদ্রা আরও বেশি ব্যবহারে শক্তিশালী হয়, তাহলে মার্কিন ডলার পতনের পথে হতে পারে। আমেরিকা এখন একটি কঠোর পরিবর্তনের মোড়কে যা মার্কিন ডলারের সম্ভাবনা তৈরি করতে বা ভেঙে দিতে পারে।