শিরোনাম

ভাঙন আতঙ্কে আগুনমুখা নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা

Views: 78

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : আগুনমুখা নদীর ভাটা জোয়ারের পানির তোরে দীর্ঘ দিন ধরে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নটি ভাঙন কবলিত।

নদীভাঙনে ইতোমধ্যে ইউনিয়নের তিনের একাংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অব্যাহত ভাঙন হতে বিচ্ছিন্ন এ চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন রক্ষায় কার্যত কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নেই। তার পরেও ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে আগুনমুখা নদী হতে প্রভাবশালী চক্রের অব্যাহত অবৈধ বালু উত্তোলন। নদীর যে অংশে সারি সারি ড্রেজার চালিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়, সে পথ ধরে প্রতিনিয়ত উচ্চপদস্ত কর্মকর্তার পদচারণ রয়েছে। তবুও যেন দেখেও দেখছেন না ওই চক্রের কর্মকাণ্ড। এখনই বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে যেকোনো সময় শুরু হতে পারে ভাঙন।

উপজেলা ভূমি অফিস জানায়, রাঙ্গাবালীর ডিগ্রি নদীতে নতুন বালু মহাল ঘোষণা করা হবে। এটি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বালু মহাল নেই। নতুন প্রস্তাবনার মধ্যে আগুনমুখা নদী পড়েনি।

জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলার মধ্যে প্রবহমান আগুনমুখা নদীতে প্রায় দেড় মাস ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর পেছনে কাজ করছে প্রভাবশালী একটি চক্র। সকালে রাঙ্গাবালীর অংশে তো রাতে গালাচিপার অংশে বালু উত্তোলন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে ব্যবহৃত হয় ৫-৮টা ড্রেজার মেশিন।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি এক দিন গিয়েছিলাম। যেয়ে দেখছি রাঙ্গাবালীর সীমানায়। ইউএনও রাঙ্গাবালীকে বলেছি। জানতে পারলাম রাতে নাকি আমার এখানে বসে। অভিযানে যাব। যদি পাই, শাস্তি পেয়ে যাবে।’

স্থানীয়রা বলেছেন, দিন রাত মিলিয়ে অবাধে বালু তোলা হচ্ছে। এর ফলে কৃষি জমি ও নদী ভাঙনের মাত্রা আরো বেড়ে যাবে। এ ছাড়াও নদীর যে অংশে বালু তোলা হচ্ছে সেখানেও দীর্ঘ একটি চর জেগেছে। যেখানে বন বিভাগের ম্যানগ্রোভ নতুন বাগান করা হয়েছে। অবৈধ এ বালু সিন্ডিকেট বন্ধ করা না হলে আমরা উভয়ই ক্ষতির মধ্যে পড়ব। কিন্তু উপকৃত হচ্ছে অসাধু কিছু প্রভাবশালী মানুষ।

রাঙ্গাবালী রেঞ্জ কর্মকর্তা অমিতাভ বসু বলেন, বালু উত্তোলন করলে বাগানের ক্ষতি হবে। কিন্তু বালু উত্তোলনে আমরা বাধা দিতে পারব না। এ বিষয়ে ইউএনও স্যারকে জানাব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি, অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ব্যবস্থা নিবো।

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *