বরিশাল অফিস :: তীব্র শীত কিংবা ঝড়-বৃষ্টি যাই হোক,সময় চলে যায় নীরবে। ছোট্ট একটি ঘর। মরিচা পড়া টিনের জরাজীর্ণ অবস্থা। ৭৮ বছরের বয়োঃবৃদ্ধ তিনি। জীবন সায়ান্নে এসেও প্রতিটি দিন দুশ্চিন্তায় কাটাতে হয় তাকে। ঘরের চাল প্রায় পুরোটাই ফুটো। নেই খাবারের কিংবা অসুখের চিকিৎসা নিশ্চয়তা। রয়েছে খাদ্য সংকট। বৃষ্টি হলেই ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয় পাশ্ববর্তী বাড়িতে। এই ভাঙ্গা ঘড়েই স্ত্রী নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের ভান্ডারীকাঠী গ্রামের অসহায় দরিদ্র বাসিন্দা সেকান্দার মোল্লা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি প্রতিটি ঘরহীন মানুষকে ঘর তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় ঘরহীন পরিবারকে ঘর তৈরি করে দেওয়ার কার্যক্রম চললেও যেনো ভাগ্যের চাকা ঘুরছে না দরিদ্র সেকান্দার মোল্লার। সরেজমিনে গিয়ে টানাপড়েনের সংসার যাপনের চিত্র দেখা যায়, ছোট্ট একটি ভাঙ্গা ঘরে তাদের বসবাস। ঘরের উপরের চালের বেশিরভাগ অংশ ফুটো হয়ে গেছে। যে অংশে কিছুটা ভালো আছে সে অংশে একটি চৌকি বসিয়ে কোন মতে রাত্রি যাপন করেন বৃদ্ধা দম্পতি। কাজ কর্ম কিছু করতে পারেননা বলে মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে কোনমতে জীবন যাপন করছেন তারা।
দরিদ্র সেকান্দার মোল্লা বলেন, স্ত্রীকে নিয়ে জরাজীর্ণ ঘরে যুগ পার করেছি। মেঘ দেখলে বৃষ্টির ভয়! আমাদের সম্পদ বলতে রয়েছে এই ভিটেমাটি। কয়েক বছর ধরে ঘরটি দিয়ে বর্ষার সময়ে পানিতে ভিজতাম। এমনও দিন গেছে রাতে বসে রইছি। এহন শীতে কষ্ট করি। ঘর সংস্কার করব সেই সক্ষমতাও নেই।
প্রতিবেশী আলম জানান, সেকান্দার মোল্লা ও তার স্ত্রী বর্তমানে চরম ভোগান্তির শিকার। তাদের কোনো ফসলি জমি নেই। কোনো দিন খায় আবার কোনো দিন না খেয়েও থাকে। এখন এই বৃদ্ধ অসহায় সেকান্দার মোল্লার বসতঘরটি মেরামতের জন্য জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানদের সহযোগিতার কোন বিকল্প নাই।