বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, ভাত খেলে ওজন বেড়ে যায়। ফলে যারা ওজন কমাতে চান, তারা ডায়েট থেকে ভাত বাদ দেন। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পরিমাণমতো ভাত খেলে ওজন বাড়ার ভয় নেই। ভাতে রয়েছে আয়রন, ফাইবার, প্রোটিন এবং সামান্য ফ্যাট। এটি প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে এবং ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ভাত হজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে অতিরিক্ত ভাত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্য ভাত খাওয়ার নিয়ম জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক নিয়মে ভাত খাওয়ার পদ্ধতি
১. কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য বজায় রাখুন:
ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েটে ভাত বা রুটির মতো কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার রাখা উচিত। সকাল এবং দুপুরে ভাত খাওয়া যেতে পারে। তবে ওজন কমাতে চাইলে রাতে ভাত এড়িয়ে চলুন।
২. বয়সভিত্তিক পরিমাণ ঠিক করুন:
১৭-৩০ বছর বয়সে: আড়াই থেকে তিন কাপ ভাত পুষ্টির জন্য যথেষ্ট।
৩৬ বছরের বেশি হলে: সারাদিনে আড়াই কাপের বেশি ভাত না খাওয়াই ভালো।
৪২ বছরের পর: দিনে দুই কাপ ভাত খাওয়াই যথেষ্ট।
৩. প্রোটিনের সঙ্গে মিল রাখুন:
ভাতের সঙ্গে মাছ, মাংস, ডিম, সয়া, ডাল বা পনিরের মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। এতে পুষ্টি নিশ্চিত হবে।
4. ফাইবারযুক্ত শাক-সবজি খান:
ভাতের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ শাক-সবজি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।
পুষ্টিবিদের পরামর্শ
পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন বলেন, “ভাত খাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট পরে পানি পান করুন। এতে হজমশক্তি উন্নত হয়। খাবারের মাঝে প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত পানি পান করবেন না।”
ভাত সঠিক নিয়মে এবং পরিমিত পরিমাণে খেলে এটি শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে।
—