ভারতে বাংলাদেশী দূতাবাসে হামলা, মুসলিম হত্যা এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে আজ (৬ ডিসেম্বর) বাউফল উপজেলা ইমাম পরিষদের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা তাদের অবস্থান তুলে ধরতে শহরের বিভিন্ন সড়কে মিছিল করে এবং পরে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয়।
মিছিলটি শহরের গোলবাড়িস্থ শাহি মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাউফল উপজেলা মসজিদের ইমাম অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ হাবিবুল্লাহ, শাহি মসজিদের ইমাম আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, সাবরেজিস্ট্রি অফিসের ইমাম নজরুল ইসলাম, এবং বাউফল সরকারি কলেজ জামে মসজিদের ইমাম আলহাজ্ব মাওলানা শাহজাহান প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রামে ইসকনের সদস্যরা আইনজীবী আরিফুর রহমানকে হত্যার পর চট্টগ্রামকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে ভারতের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছে। তারা এই আগ্রাসনেই থেমে নেই, তারা বাংলাদেশে কথিত হিন্দু নির্যাতনের কথা তুলে ধরে ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে এবং জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করেছে।
তারা আরও বলেন, এই সময় মোদি সরকারের পুলিশ বাহিনী নীরব ছিল, যা সরকারের নির্লিপ্ততার চিত্র ফুটে ওঠে। বক্তারা দাবি করেন যে, ভারতের হিন্দুরা সম্প্রতি তিন মুসলিমকে হত্যা করেছে এবং বাবরী মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির নির্মাণ করেছে। এর পাশাপাশি, তারা সুফি সাদক খাঁজা মাইনউদ্দিন চিশতির দরগায় হাত তুলে অপমানের সাহস দেখিয়েছে।
বক্তারা বিদেশী কুটনৈতিক এবং সাংবাদিকদের কাছে আহ্বান জানান, তারা যেন বাংলাদেশে কোথাও হিন্দু নির্যাতন এবং ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর ভাঙচুর সরেজমিন দেখে প্রতিবেদন দেন।
এসময় বক্তারা ইসকন নেতা চিম্ময়কে দেশদ্রোহী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশের পতাকার অবমাননা করেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে, মিডিয়ায় অপপ্রচার চালিয়ে বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তী বিনষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, “আমরা মুসলিমরা বীরের জাতি, যে কোনো হামলা প্রতিহত করতে প্রয়োজনে শহীদ হয়ে যাবো।”
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম