এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং দলের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্য বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে কারা মনোনয়ন পাবেন সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ভিসানীতি নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। আমাদের একজন ত্যাগী কর্মীর বিরুদ্ধে আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলে আমরা কি নাচব? ত্যাগী হলে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিলেও তিনি মনোনয়ন পাবেন।’
নির্বাচনের আগে ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভিসানীতির আওতায় পড়লে দলীয় মনোনয়ন পাবেন কি না, সেটি নিয়েও সংশয়ে তারা। তবে, ‘দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভিসানীতি বা নিষেধাজ্ঞাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না’ বলে নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সদস্য ।
দলীয় সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে দেশের রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় বইছে। দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ভিসানীতিকে পুঁজি করে সরকারের ব্যাপক সমালোচনা শুরু করেছে। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীনরাও ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই’ বলে বক্তব্য দিচ্ছেন। তারপরও দলের এমপি, মন্ত্রী ও প্রভাবশালীরা একটু হলেও চিন্তিত যে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হবেন কি না?
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বক্তব্য হলো , “ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের একটি নীতি। আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। তারা কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না— এটি তাদের বিষয়। আমাদের নির্বাচনে ‘তারা কোনো পক্ষ অবলম্বন করবে না’— এটি সবসময় বলে আসছে। তাদের ভিসানীতি ‘নির্দিষ্ট কোনো দলের জন্যও নয়’— এমনটি জানিয়েছে তারা।’’
দলীয় সূত্র আরও জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভিড় করছেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও বাড়িয়েছেন তারা।