বরিশাল অফিস :: গত ৫ ফেব্রুয়ারি দেশের বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভেজাল শসা বীজে ভোলার কৃষকের সর্বনাশ’ নামে একটি প্রতিবেদন ও ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ হয়৷
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভেজাল বীজের কারণে ভোলার প্রায় ৫০০ একর জমির শসা পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষকদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় এসআর সিড কোম্পানি অ্যাগ্রো বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিবাদ জানিয়েছে।
কোম্পানির জেলা এরিয়া ম্যানেজার মো. মনির হোসেনের স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, ভেজাল বীজের কারণে শসা গাছের ক্ষতি হয়নি। কৃষকদের সঠিক পরিচর্যার অভাব, মাটির গুনগতমান ও আবহাওয়াজনিত কারণে শসা বীজের গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় ডিলার মাকসুদুর রহমানের কাছ থেকে এসআর সিড কোম্পানি টাকা পাবে। এ টাকার জেরে ডিলার মাকসুদুর রহমানের ইন্ধনে কৃষকরা গাছের সঠিক পরিচর্যা না করে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। যার কারণে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসআর সিড কোম্পানির একটি প্রতিনিধি দল রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন পরিদর্শন করে নষ্ট হওয়া গাছ ল্যাবে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। এসআর সিড কোম্পানির সুনাম ক্ষুন্ন করার উদ্দেশে ডিলারের ইন্ধনে কৃষকরা এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে।
গেল মঙ্গলবারের প্রতিবেদনটি ছিল- প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কৃষকরা আশা করেছিল শসা চাষ করে সংসারের খরচ মেটাবেন। কিন্তু এ আশা তাদের গুড়ে বালি। ভেজাল শসার বীজ আবাদ করে ব্যাপক লোকসানের শিকার হচ্ছেন তারা। এ অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার কৃষকেরা। এর মধ্যে অ্যাগ্রো বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানির ‘এসআর সিড’ নামের জাতের শসার বীজ এবার সর্বনাশের ক্ষতির দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। সম্প্রতি সরেজমিন গেলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও বীজ বিক্রেতারা এমন অভিযোগ করেছিলেন।