দেশের তরুণদের পরিবর্তনের প্রতি আগ্রহ ও অংশগ্রহণ বাড়াতে ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্যে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এ প্রস্তাব দেন। ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের (এফবিএস) উদ্যোগে আয়োজিত এ সংলাপে ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচনের ওপর আলোচনা হয়।
ড. ইউনূস বলেন, “যে যত তরুণ, পরিবর্তনের প্রতি তার আগ্রহ তত বেশি। তারুণ্য শক্তি যোগায় এবং তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তাই তরুণদের আগাম ভোটাধিকার দেওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মতামত গ্রহণের জন্য ১৭ বছর বয়সে ভোটার হওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দেশের জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই মেনে নেওয়া হবে।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের স্বপ্নকে সাহসী করেছে। এই ঐক্যের জোরেই আমরা দেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কাঠামোতে বড় পরিবর্তন আনতে পারব।” তিনি উল্লেখ করেন, “প্রত্যেক নাগরিক যেন তার সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ পায় এবং সমাজে বৈষম্যহীনতা বজায় থাকে।”
তিনি বলেন, “প্রত্যেক নাগরিকের একটাই পরিচয় থাকবে— তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। রাষ্ট্র তার অধিকার সুনিশ্চিত করবে। এ ধরনের সমাজে ব্যক্তি বন্দনার কোনো সুযোগ থাকবে না।”
সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলবে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি জানান, “নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে। তবে সংস্কারের কাজে প্রত্যেক নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে।” সংস্কারকে এগিয়ে নিতে ইতোমধ্যে ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে, যেগুলোর প্রতিবেদন জানুয়ারি মাসে পাওয়া যাবে।
সংলাপের সমাপ্তিতে ড. ইউনূস সবাইকে আহ্বান জানান, “দেশের উন্নয়নে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে এবং প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব নিতে হবে।”
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম