ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে দেওয়া একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স ৫ বছর ধরে অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে আছে, এবং এক দিনও রোগী পরিবহন করতে পারেনি। দুর্গম চরবাসীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার এটি বরাদ্দ করলেও এটি এখনো কাজে আসেনি।
২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি তজুমদ্দিন হাসপাতালে হস্তান্তর করা এই নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি শশীগঞ্জ স্লুইসগেটের দক্ষিণ পাশে একটি খালে পড়ে রয়েছে। এর সামনের গ্লাস, মেশিন এবং ভেতরের বসার সিট সবই ভেঙে গেছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটি বর্তমানে রোগী বহনের জন্য অযোগ্য হয়ে গেছে। তাছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫০ হাজার টাকা তেল খরচ বাবদ নেওয়া হলেও তার কোনো বিল বা ভাউচার দেখানো হয়নি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন যে, চরাঞ্চলের মানুষ যেখানে প্রতিদিন খাল বা নদী পারাপারের জন্য ট্রলার ব্যবহার করছে, সেখানে এই নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি কোনো কাজে আসেনি। স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আব্দুল্যাহ জানান, চরবাসী কখনোই এই নৌ অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা পায়নি, এবং এটি শুধুমাত্র সরকারি টাকার অপচয় হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ জানায়, কমিউনিটি বেসড হেলথ কেয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে নৌ অ্যাম্বুলেন্সটি বরাদ্দ হলেও পরবর্তীতে এটি বিকল হয়ে যায়। যদিও গত ২০২৩ সালে এক ড্রাইভারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, তবে অ্যাম্বুলেন্সটি এখনো কোনো কাজে আসেনি।
এদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. উত্তম কুমার সরকার জানান, এটি বর্তমানে মেরামতের অযোগ্য অবস্থায় রয়েছে, তবে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কীভাবে এই অ্যাম্বুলেন্সটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধান করা যায়।
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম