শিরোনাম

ভোলায় ইপিআই ভ্যাকসিন সংকট, টিকা কার্যক্রম ব্যাহত

Views: 48

বরিশাল অফিস :: ভোলায় দুই মাস ধরে নিউমোনিয়া ও পোলিও টিকাসহ বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে প্রতিদিনই অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিয়ে টিকা কেন্দ্রে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় টিকা দিতে না পেরে উদ্বিগ্ন তারা। এনিয়ে ক্ষোভ ঝরছে তাদের কণ্ঠে। টিকার জন্য ঢাকায় চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

টিকা নিতে আসা অভিভাবক মিজি বাড়ির নাহিদা লায়লা নাসরিন, ফাতেমা জানান, শিশুর টিকার জন্য এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্র ছুটছেন সন্তানের বাবা-মা। এরপরও মিলছে না টিকা। তাই ফিরতে হচ্ছে হতাশ হয়েই। দুই মাস ধরে ভোলায় নিউমোনিয়া ও পোলিও টিকাসহ বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তাই নির্দিষ্ট তারিখে শিশুদের টিকা নিতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে অভিভাবকরা। ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্র থেকে শুরু করে সরকারি হাসপাতালেও মিলছে না এই টিকা।

আকলিমা বেগম বলেন, আমার মেয়ের তিনটি টিকা দেয়া হয়েছে। ৪র্থ ধাপের টিকার জন্য স্থানীয় স্যাটেলাইট ক্লিনিকে গেলেও টিকা মেলেনি। পরে হাসপাতাল এসেছি, সেখানেও নেই। এতে আমরা খুব চিন্তার মধ্যে আছি। সঠিক সময়ে যদি টিকা না দিতে পারি তাহলে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এতে দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে তাদের। তাই দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করার দাবি অভিভাবকদের।

স্বাস্থ্য সহকারী জান্নাতুল নাঈম ও মো. হোসেন জানান, শিশুদের পিসিভি, আইপিভি, পেন্টাভ্যালেন্ট এই তিনটি ভ্যাকসিন না থাকায় শিশুদের নিয়মিত টিকা দিতে পারছেন না তারা। এতে টিকা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান আহমেদ জানান, টিকার জন্যে আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি। যেন দ্রুত টিকা আসে। তবে টিকা দিতে কিছুটা বিলম্ব হলেও তা শিশু স্বাস্থ্যের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ভোলা জেলায় এক বছরে ৬৪ হাজার শিশুকে টিকা দিতে হয়। জেলার ৬৭টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২৪টি টিকা কেন্দ্রে মাসে একবার করে টিকা দেয়া হয়। এছাড়াও রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও জেলা সদর হাসপাতালে ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন টিকা দেয়া হয়। বর্তমানে ১০টি রোগের টিকার মধ্যে কেবল ৩টি টিকা মজুদ রয়েছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *