শিরোনাম

ভোলায় তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

Views: 97

বরিশাল অফিস :: জেলায় চলতি মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৬১ হেক্টর বেশি জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।

জেলার সাত উপজেলায় তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর। বিপরীতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে ১৮ হাজার ৯৬১ হেক্টর। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনকূলে থাকলে জেলায় তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার কথা জানায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

জেলায় প্রতিবছরই তরমুজের ব্যাপক আকারে আবাদ হয়ে থাকে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বরিশাল-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোলার তরমুজ যায়। আর গত কয়েক বছর ধরে তরমুজ’র দাম ভালো পাওয়ায় অনেক কৃষকই তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের দেয়া হচ্ছে সব ধরনের পরামর্শ সেবা। বর্তমানে মাঠে তরমুজের অবস্থাও বেশ ভালো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো. হুমায়ন কবির বলেন, জেলায় তরমুজ আবাদের মধ্যে সদর উপজেলায় আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর, দৌলতখানে ২২০ হেক্টর, বোরহানউদ্দিনে দেড় হাজার হেক্টর, তজুমদ্দিনে ১৩০, লালমোহনে ৩৫০, চরফ্যাশনে ১৫ হাজার হেক্টর ও মনপুরায় ৬১ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ সপন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব তরমুজের মধ্যে গ্লরী, এসইআই সুপার, ড্রাগন, হানি কুইন, পাকিজা, লেনফাই, সুইট এমপিআর জাত বেশি আবাদ হয়েছে। সাধারণত আমাদের বিভিন্ন চরাঞ্চলগুলোতে তরমুজের চাষ বেশি হয়।

উপজেলা সদরের মাঝের চরের তরমুজ চাষি খলিল, সাহেব আলী ও তৈয়ব আলী জানান, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই এখানে তরমুজের চাষ শুরু হয়। গত কয়েক বছর ধরে রোজার মধ্যে তরমুজের সিজন থাকে। এতে দাম ভালো পওয়া যায়। এবারো আশা করছেন প্রথম দিকের কিছু তরমুজ রোজায় বিক্রি হবে। চাষিরা হবে লাভবান।

অপর চাষি মমিন ও রহিম উদ্দিন বলেন, তারা ৪ একর জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন। বর্তমানে মাঠে তরমুজের অবস্থাও বেশ ভালো রয়েছে। আশা করছেন মার্চে তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন। বড় ধরনের বিপর্যয় না হলে তারা লাভবান হবেন বলে আশা করেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর জানান, জেলায় চলতি বছর তরমুজের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। রোগ-বালাইরও তেমন আক্রমণ নেই। যদি শিলা বৃষ্টি না হয় তাহলে কৃষকরা লাভবান হবেন। বিশেষ করে প্রথম দিকে যারা তরমুজের আবাদ করেছে তারা বেশি দাম পাবে। গত কয়েক বছর ধরে ভোলায় তরমুজের চাহিদা বাড়ায় অনেক কৃষকরাই উদ্বুদ্ধ হচ্ছে তরমুজ চাষে।

তিনি জানান, এখানকার রসালো মিষ্টি তরমুজ খেতে বেশ চমৎকার। এসব তরমুজ এক-দুই কেজি থেকে শুরু করে প্রায় ১৫ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। আগামী এক মাস পর থেকেই তরমুজ বাজারে উঠতে শুরু করবে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের সব ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *