শিরোনাম

ভোলায় নকশী কাঁথা সেলাই করে ভাগ্য বদল সেলিনা আক্তারের

Views: 63

 

বরিশাল অফিস:নকশী কাঁথা সেলাই করে ভাগ্য বদলেছে ভোলা সদর উপজেলার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের বড়মিয়া বাড়ির বাসিন্দা সেলিনা আক্তারের। একসময়ের অভাবের সংরের হাল ধরতেই শুরু করেন সেলাই কাজ। আর সেই সেলাই কাজে বদলাতে থাকেন তার ভাগ্য।
অসহায় থেকেই সহায় এ যেনো ফোটানো রঙিন সপ্ন। দুই মেয়ে ও স্বামী নিয়ে অসহায় ছিলেন ভোলার মেয়ে সেলিনা আক্তার। দিশেহারা হয়ে যান সংসারের হিমসিম দেখে।

চিন্তার ভাজ পরে যায় তার মাথায়। সেলিনার স্বামী যা আয় করে তা দিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়ে যেতো। সেই কষ্ট লাঘব করার লক্ষে উদ্যেগ নেন নিজে কিছু করার। যেমন চিন্তা তেমন কাজ। সেলিনা আক্তার চলে যান বাবার বাড়ি, ভাইয়ের কাছ থেকে ধার নেন ২০ হাজার টাকা ও নিজের বিয়ের নাকের জিনিস এবং পড়নের পুরাতন কাপর বিক্রি করে প্রায় ২৫ হাজার টাকা নিয়ে শুরু করে জীবন যুদ্ধ।
আর তা দিয়ে শুরু করেন নকশিকাঁথা ও অন্যান্য পোশাক সেলাই।

ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে ভাগ্যের চাকা। প্রায় কয়েক বছরই পড় ২৫ হাজার গিয়ে দারায় ২ লাখ ৫০ হাজারে। সেলিনা আক্তার হয়ে ওঠেন সফল উদ্যোক্তা। কিন্তু হটাৎ করেই মরণঘাতী করোনা থামিয়ে দেয় সেলিনার ভাগ্যের চাকা। দুবছর অনেক কষ্টে পার করলেও করোনা শেষে ফের ভাগ্য বদলে যায় সেলিনা আক্তারের। বর্তমানে সেলিনা আক্তারের নকশীকাঁথা সেলাই কারখানায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ভাগ্য বদলাতে শুরু করছে আশপাশের নারীদের।

নারী উদ্যোক্তা সেলিনা আক্তার। স্বামীর আয়ে আমার সংসার চলতে ও মেয়েদে লেখা পড়ার খরচ চালাতে কষ্ট হতো।তাই ভাইয়ের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়ে এই নকশীকাঁথা কাজ শুরু করি আমি।

সেলিনা নকশীকাঁথা সেলাই কারখানায় প্রায় নারী শ্রমিক। সংসার চলতে স্বামীকে কিছু আর্থিক সাহায্য করি। ছেলেমেয়েদের লেখা পড়ার খরচ ও চালাতে পারি এই নকশীকাঁথা কাজ করে আমরা। বাড়ীতে বসে এ কাজ করতে পারি দুরে কোথাও জেতে হয়না।

উপণ্ডপরিচালকের কাযালয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো: ইকবাল হোসেন (অতি:দা:) বলেন, সেলিনা আক্তারের মত উদ্যোক্তা আমাদের দেশের গর্ব। আমরা চাই তার দেখাদেখি অন্যরাও যাতে এ ধরনের উদ্যেগ নিতে পারে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *