শিরোনাম

ভোলার চরাঞ্চলে নতুন জাতের ধান আবাদ

Views: 9

ভোলার চরাঞ্চলে এবার নতুন জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান ‘ব্রি ধান-১০৩’ চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা। এই জাতের ধান অন্যান্য ধানের তুলনায় আগেই সংগ্রহ করা যায়, যা কৃষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা। লালমোহন উপজেলায় প্রথমবারের মতো কৃষি অফিসের উদ্যোগে কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বীজ, সার ও বালাইনাশকসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। এর ফলে কৃষকরা সফলভাবে ব্রি ধান-১০৩ আবাদ করেছেন এবং বাজারে বীজ হিসেবে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছেন।

ভোলার লালমোহন উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার কালমা ইউনিয়নের চরছকিনা এলাকার তিনজন কৃষক এবং পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের কলেজ পাড়া এলাকার তিনজন কৃষকসহ মোট ছয়জন কৃষক উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-১০৩ আবাদ করেছেন। এদের মধ্যে কালমা ইউনিয়নের কৃষকরা আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধান কাটতে পারবেন। অন্যদিকে, পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের কৃষকরা অতিবৃষ্টির কারণে কিছুটা দেরিতে আবাদ করলেও, তারা ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু করবেন।

এ বছর প্রথমবারের মতো মোট চারশত শতাংশ জমিতে এই ধান আবাদ করা হয়েছে। কৃষকরা জানাচ্ছেন, ব্রি ধান-১০৩ চাষে তাদের ব্যয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা হলেও, তারা আশা করছেন, এই জমি থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার বীজ বিক্রি করতে পারবেন। বাজারে এই ধানের বীজ পাইকারি প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা এবং খুচরা ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হবে।

কালমা ইউনিয়নের চরছকিনা এলাকার চাষী মো. বাবুল, মো. সেলিম এবং শেখ সাদি জানিয়েছেন, “আমরা কৃষি অফিসের সহায়তায় ২০০ শতাংশ জমিতে ব্রি ধান-১০৩ চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার, কীটনাশক এবং বীজ সংরক্ষণের ড্রাম বিনামূল্যে পেয়েছি। আমাদের খরচ প্রায় ৪০ হাজার টাকা, তবে আশা করছি, এই জমি থেকে দেড় লাখ টাকার বীজ বিক্রি করতে পারব।”

পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের কলেজ পাড়া এলাকার চাষী মো. নান্নু, মোস্তফা কামাল এবং কাকলি রাণী জানান, তাদেরও ২০০ শতাংশ জমিতে ব্রি ধান-১০৩ চাষ করা হয়েছে। তারা জানান, অতিবৃষ্টির কারণে কিছুটা দেরিতে আবাদ হলেও, তারা আশা করছেন ২০-২৫ দিনের মধ্যে ধান কেটে বিক্রি করতে পারবেন। তাদেরও কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবু হাসনাইন বাসস’কে বলেন, “দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে, তাই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসল চাষের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এই বছর ব্রি ধান-১০৩ জাতের চাষে আমরা সফলতা পেয়েছি। এর মাধ্যমে কৃষকরা আগামীতে আরো বেশি পরিমাণে এই ধান চাষ করতে পারবেন।”

কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, “অন্যদিকে, অন্যান্য জাতের ধান চাষীও ভালো ফলন পাবেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তাদেরও ভালো ফলন আশা করা যাচ্ছে।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *