ভোলার শহীদ শাজাহানের নবজাতককে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাদ জাহান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শাজাহানের নবজাতককে দায়িত্ব নেওয়ার পর শনিবার সকালে ভোলা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে শিশুটিকে দেখে ডিসি অভিভাবক হিসেবে তার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
শাহজাহানের পরিবার ও নবজাতক:
শুক্রবার বিকালে ভোলার এশিয়া ডক্টরস পয়েন্টে শাজাহানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটির নাম রাখা হয় ওমর ফারুক। শাজাহান, যিনি ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ছোটধলী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন, ঢাকায় পাপোশ বিক্রি করতেন। ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গুলিতে নিহত হন তিনি, তখন তার স্ত্রী ফাতেমা ছিলেন চার মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা।
ডিসি’র সহযোগিতা ও প্রতিশ্রুতি:
শিশুটির জন্ম সংবাদ পাওয়ার পর ডিসি মো. আজাদ জাহান শনিবার সকালে ক্লিনিক পরিদর্শন করেন। তিনি শিশুটির মাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে উপহার ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। ডিসি বলেন, “শাহজাহান ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহীদদের মধ্যে একজন। আমরা শুরু থেকেই তার অসুস্থ স্ত্রীর পাশে ছিলাম এবং জেলা প্রশাসন থেকে অনুদান দিয়েছি। এখন নবজাতকের দায়িত্ব নিয়েছি, এবং ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকব।”
শাহজাহানের পরিবার ও সরকারের সহযোগিতা :
শাহজাহানের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা সরকারের সহযোগিতায় সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। ফাতেমা বেগম বলেন, “শাহজাহান ছিলেন সন্তানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন। আজ তাকে ছেলেকে দেখে যেতে হয়নি, তবে আমি সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি যাতে আমার সন্তান ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে।”
ভোলার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক রাহিম ইসলাম ও কামরুন নাহার এনি জানিয়েছেন, তারা শিশুটির পাশে আছেন এবং ভবিষ্যতে খোঁজখবর রাখবেন।
শারীরিক সুস্থতা ও চিকিৎসক মন্তব্য :
ক্লিনিকের চিকিৎসক আফরোজা বেগম জানান, প্রসূতি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন এবং আপাতত কোনো সমস্যা নেই। তাদের পর্যবেক্ষণ চলছে।
মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম