চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলা ভোলার সাগর মোহনার মনোরম সবুজ জনপদ চরফ্যাশনের কুকরি-মুকরি এখন পর্যটকদের আগমনে মুখরিত। শীতের আগমনীতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ দ্বীপে ভ্রমণপিপাসুরা ভিড় জমাচ্ছেন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা এখানে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করছেন, এবং স্মৃতি ধরে রাখতে ছবি তুলছেন।
কুকরি-মুকরির মূল আকর্ষণগুলোর মধ্যে ইকোপার্ক, নারিকেল বাগান, কুকরি বীচ, ঝুলন্ত সেতু এবং মাকড়শার জাল অন্যতম। পর্যটকরা এসব দর্শনীয় স্থানে আনন্দময় সময় কাটাচ্ছেন এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম ও কন্ঠশিল্পী জিয়াউর রহমান বলেন, “রাজধানীর কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে আমরা কুকরি-মুকরিতে এসেছি। এখানকার সবুজ বনভূমি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের মুগ্ধ করেছে। সারাদিন ছবি তোলা ও আনন্দে সময় কেটেছে।”
কুকরি-মুকরির হোটেল ব্যবসায়ী মোরশেদ আলম জানান, পর্যটন খাতে সরকারের সহায়তা পেলে এখানে আরও উন্নত অবকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হবে, যা পর্যটকদের জন্য সুবিধাজনক হবে। স্থানীয় বাসিন্দা কামাল গোলদার ও ঈমাম হোসেন মনে করেন, পর্যটকদের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে কুকরি-মুকরির পর্যটন আরো সমৃদ্ধ হবে।
কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজন বাসসকে জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা কুকরি-মুকরির সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন এবং এখানে ভ্রমণের জন্য স্থানটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ভোলা উপকূলীয় বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, কুকরি-মুকরিকে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে এবং এর জন্য নতুন সবুজ বনায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হচ্ছে। পর্যটকদের পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি দিতে আরও উন্নত অবকাঠামো তৈরি হবে বলে তিনি জানান।
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই দ্বীপটি যেন দক্ষিণাঞ্চলের আরেক সুন্দরবন। এখানকার ম্যানগ্রোভ বনে হরিণ, বানর, কাঠবিড়াল, বন্য মহিষ এবং অতিথি পাখির মেলা পর্যটকদের আরও মুগ্ধ করে তোলে।