ভ্যাট বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের নতুন পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই আলোচনায় এসেছে। ভ্রমণ, সিগারেট, এলপিজি, পোশাক, রেস্তোরাঁর খাবার সহ একাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিকে, মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা দেশের ব্যবসায়ী মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দীর্ঘ ৪-৫ মাসের মন্দা পরিস্থিতির পর যখন ব্যবসা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর সুপারিশের ভিত্তিতে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রেস্তোরাঁর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে। এছাড়া নন-এসি হোটেলের ভ্যাটও দ্বিগুণ করে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। এছাড়া বিমান টিকিটের ওপর আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি প্রস্তাবিত হয়েছে, যা স্থানীয় ফ্লাইটে ৭০০ টাকা, সার্ক দেশে ১,০০০ টাকা এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এ পদক্ষেপের মাধ্যমে এনবিআর ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, “এভাবে মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়ানোর মানে হয় না। ছোট ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা স্ট্রাইকে চলে যাব এবং সবার সঙ্গে কথা বলব।”
অরুনিমা রিসোর্টের চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন আহমেদ জানান, “এখনো পর্যটন খাত খুবই সংকটাপন্ন। যদি বিমান ভাড়াও বাড়ানো হয়, তাহলে এই খাতের ক্ষতি আরও বাড়বে।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই নতুন ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির ফলে ভোক্তাদের ওপর আরও চাপ পড়বে এবং মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও সংকটাপন্ন করতে পারে। সরকার যদি এসব পরিবর্তন বাস্তবায়ন করে, তাহলে আগামী দিনগুলোতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে, যার প্রভাব সরাসরি জনগণের ওপর পড়বে।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম