চন্দ্রদ্বীপ নিউজ::ময়মনসিংহ গ্যাস পাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ জন হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মোট ৭ জন। তার মধ্যে ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ২ জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনা তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসন।
নিহতরা হলেন, প্রাইভেটকার চালক সদর উপজেলার কিছমত গ্রামের বাসিন্দা হিমেল ও রহমতপুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস। আহতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
ময়মনসিংহ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঘটনার সময় ঢাকা থেকে আনা একটি এলপিজি গ্যাসের ট্যাঙ্ক লড়ি থেকে গ্যাস নামানো হচ্ছিল। পাশাপাশি একটু দূরেই একটি প্রাইভেটকারে তিতাস গ্যাস দেওয়া হচ্ছিল। এ সময় গ্যাস লিকেজ থেকে হঠাৎ এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ৭টি গাড়ি অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি প্রাইভেকটার, তিনটি সিএনজিসহ অন্যান্য গাড়ি রয়েছে।
এর আগে বেলা পৌনে ৩ টার দিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটের টানা দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে, এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কাজ করছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম। এ সময় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
ডিসি মো. মুফিদুল আলম বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট লুৎফুন্নাহার নাহারকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলো এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কীভাবে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তা ওই প্রতিবেদনে জানা যাবে