বর্তমানে মশার কামড়ে শুধু ডেঙ্গু নয়, হতে পারে আরও মারাত্মক সব রোগ। ডেঙ্গুর প্রকোপ দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই এখন মশাবাহিত রোগের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তবে ডেঙ্গুর পাশাপাশি ইয়েলো ফিভার, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, জিকা, সিন্ডবিসসহ ভয়াবহ রোগগুলোর কথা জেনে সাবধান থাকা জরুরি।
ডেঙ্গু:
এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়। এ রোগে শরীরে ব্যথা, লাল গুটি, মাংসপেশী এবং হাড়ের জোড়ায় ব্যথা দেখা দেয়। চরম পর্যায়ে রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যুও হতে পারে। আবার দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হলে তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে।
ইয়েলো ফিভার:
টাইগার মশা ও এডিস প্রজাতির মশা ইয়েলো ফিভার ছড়ায়। আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশে এ রোগের ঝুঁকি বেশি। লক্ষণ হিসেবে জ্বর, বমি এবং পরে মেনিনজাইটিস দেখা দেয়।
চিকুনগুনিয়া:
কয়েক বছর আগে চিকুনগুনিয়া দেশে মহামারির রূপ নেয়। এর ফলে হাড়ের জোড়ায় তীব্র ব্যথা কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। তবে আশার কথা হলো, একবার চিকুনগুনিয়া হলে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম।
ম্যালেরিয়া:
অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায়। এ রোগে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয় এবং সঠিক চিকিৎসা না হলে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।
জিকা ভাইরাস:
২০১৫ সালে জিকা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এডিস মশা এই ভাইরাস বহন করে। গর্ভবতী নারীরা এ রোগে আক্রান্ত হলে নবজাতকের মধ্যে শারীরিক বিকৃতি দেখা দিতে পারে।
সিন্ডবিস:
কুলেক্স মশার মাধ্যমে ছড়ানো এ রোগে জ্বর, মস্তিষ্কে প্রদাহ এবং হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা দেখা দেয়।
ওয়েস্ট নাইল ফিভার:
বয়স্ক বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষের জন্য এই রোগ ভয়াবহ হতে পারে। এতে মেনিনজাইটিস এবং মায়োকার্ডিটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লাইশম্যানিয়াসিস:
গর্ভবতী মশার কামড়ে ছড়ানো এই রোগে ত্বকের ক্ষত, জ্বর এবং মাথাব্যথা দেখা দেয়। চিকিৎসার অভাবে এটি লিভার ও কিডনিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিরোধ:
মশাবাহিত এসব রোগ থেকে বাঁচতে মশা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার বিকল্প নেই। ঘরে-বাইরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং মশার কামড় এড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম