প্রতিটি নারীর জন্য মাতৃত্ব একটি আবেগময় অধ্যায়। বিশেষত, প্রথমবার মা হলে সেই আনন্দ ও দায়িত্বের অনুভূতি দ্বিগুণ হয়ে যায়। তবে নবজাতকের সঠিক যত্নের অভাবে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নতুন মায়েদের কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
শিশুর যত্নে যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে:
প্রথমত, নবজাতকের চোখে কাজল লাগানো এড়িয়ে চলুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাজল শিশুর চোখের টিয়ার নালি আটকে দিতে পারে এবং ধুলো-ময়লা জমিয়ে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। তাই এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন।
ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ান। বুকের দুধ শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করে। তবে যদি দুধ উৎপাদনে সমস্যা হয় বা শিশুর হজমে অসুবিধা হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শিশুর ত্বক সংবেদনশীল হওয়ায় দীর্ঘ সময় ডায়াপার ব্যবহার না করাই ভালো। এর বদলে তুলো বা নরম কাপড়ের ন্যাপি ব্যবহার করুন। ত্বক ফুসকুড়ি থেকে বাঁচাতে কয়েক ঘণ্টা পরপর ডায়াপার পরিবর্তন করুন।
নবজাতকের জন্য ব্যবহৃত শ্যাম্পু, লোশন, বডি অয়েল ইত্যাদি পণ্য খুব সাবধানে নির্বাচন করুন। কেনার আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং উপাদান পরীক্ষা করুন। প্রাকৃতিক উপাদানযুক্ত পণ্য ব্যবহার করাই ভালো।
শিশুর যত্নে আরও কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। নবজাতককে স্পর্শ করার আগে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। ঠান্ডা থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নিন। শিশুর কান্নার কারণ শনাক্ত করার চেষ্টা করুন এবং খাওয়ানোর পরে পিঠে হালকাভাবে চাপ দিন, যাতে শিশুর আরাম হয়।
নতুন মায়েদের জন্য এই ছোট ছোট বিষয়গুলির যত্ন নেওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। সঠিক যত্নই শিশুর সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।