শিরোনাম

‘মাদরাসাছাত্রের নখ উপড়ে ফেলার চেষ্টাসহ চুরির মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ’

বরিশালের একটি ঘটনার পটভূমিতে মাদরাসাছাত্রকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর পরিকল্পিতভাবে চুরির মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, অভিযুক্তরা প্লায়ার্স দিয়ে মাদরাসাছাত্রের আঙুলের নখ তুলে ফেলার চেষ্টা করেছে এবং তাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছে।

ভুক্তভোগী ছাত্র আব্দুর রহিম (১৫) ও তার মা লামিয়া বেগম অভিযোগ করেন যে, ২৪ জানুয়ারি বরিশাল শহরের শ্রীনাথ চ্যাটার্জি লেনে তার ফুফুর বাসায় বেড়াতে যাওয়ার পর আব্দুর রহিমকে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হাসিব হাওলাদার এবং তার সহযোগীরা তুলে নিয়ে যায়। এরপর তারা শিশুটিকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করে, যার মধ্যে প্লায়ার্স দিয়ে আঙুলের নখ তুলে ফেলার চেষ্টা করা হয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে জখম করা হয়।

এ ঘটনার পর লামিয়া বেগম পুলিশের সাহায্য চাইলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে, বরং তাদেরই বিরুদ্ধে শিশু রহিমকে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে হাসিব হাওলাদার বাদী হয়ে আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে চুরির মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেন। এই মামলায় রহিমকে শিশু আদালতের মাধ্যমে যশোর শিশু-কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

লামিয়া বেগম অভিযোগ করেছেন যে, হাসিব হাওলাদার তার পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন এবং তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেছেন।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত হাসিব হাওলাদার দাবি করেন যে, তার বাসা থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়েছে এবং রহিম নিজেই চুরির কথা স্বীকার করেছে। তবে পুলিশের কাছে রহিমের কাছ থেকে কোনো চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়নি এবং তার বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, সন্দেহভাজন হিসেবে রহিমকে আটক করা হলেও, তার বিরুদ্ধে কোনো চুরির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং এর সুষ্ঠু সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

image_pdfimage_print