চন্দ্রদীপ ডেস্ক : ক্রমবর্ধমান ভঙ্গুর বিশ্বব্যবস্থার’ মুখে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিনিয়ই শক্তিশালী প্রতিযোগিতা, আঞ্চলিক সংঘাত এবং আন্তঃদেশীয় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে দেশটি। সোমবার কংগ্রেস কমিটিকে দেওয়া মার্কিন গুপ্তচরদের এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের হুমকি পর্যালোচনা করে বার্ষিক প্রতিবেদনে সংস্থাগুলো নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘একটি উচ্চাভিলাষী কিন্তু উদ্বিগ্ন চীন, একটি সংঘাতময় রাশিয়া, কিছু আঞ্চলিক শক্তি যেমন ইরানসহ আরও কিছু সক্ষম নন-স্টেট প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার দীর্ঘস্থায়ী নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করছে।’ রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিবেদনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বী চীন এবং রাশিয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত বেশ কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হচ্ছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এমনই একটি। প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এ যুদ্ধ চলমান। যেখানে ইউক্রেনকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে চীন রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহায়তা দিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, চীন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই বছরের মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারে। এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘(চীন) চীনের সমালোচকদের পাশে দাঁড়ানোর এবং মার্কিন সামাজিক বিভাজনকে বড় করার ইচ্ছার কারণে ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে কিছু স্তরে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারে।’ প্রতিবেদনে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক এভ্রিল হেইনস ইউক্রেনের জন্য আরও সামরিক সহায়তা অনুমোদনের জন্য আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। বলেন, ওয়াশিংটনের সাহায্য ছাড়া রাশিয়ার কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা ভূখণ্ড ইউক্রেন কীভাবে ধরে রাখতে পারে তা কল্পনা করা কঠিন ছিল।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি ২০২২ সাল থেকে সম্ভাব্য সামরিক ব্যবহারসহ চীনা পণ্যের রপ্তানি তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলি হামলাও চলমান। সেখানেও ইসরাইলকে জোর সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে হেইনসের মন্তব্য, ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে গাজায় সংঘাত বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে দিতে পারে। হেইনস উদ্বেগের সঙ্গে বলেন, ‘গাজার সংকট কীভাবে আঞ্চলিক উন্নয়নের ব্যাপক এবং এমনকি বৈশ্বিক প্রভাবের সম্ভাবনা রয়েছে তার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।’ রিপাবলিকান হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার মাইক জনসন, যিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক, এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের জন্য আরও ৬০ বিলিয়ন ডলার সরবরাহ করবে এমন একটি বিলের ওপর ভোট ডাকতে অস্বীকার করেছেন। বিলটি ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত সিনেটে পাশ হয়েছে।