যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশভিত্তিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করতে চান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার আগেই এ প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ। তাদের মতে, ব্যক্তি বা দল নয়, বরং দেশের স্বার্থে নতুন নীতি কৌশল নিয়ে কাজ করা উচিত।
ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর বাণিজ্যনীতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বিদেশি পণ্যের ওপর ট্যারিফ বাড়ানো হবে। বিশেষ করে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ হতে পারে, যা কিছু ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশেও পৌঁছাতে পারে। ইউরোপীয় পণ্যের ওপরও কর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির প্রভাব বাংলাদেশে কেমন হবে? কারণ, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ আরও বাড়লে বাংলাদেশের পোশাক রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের বিদ্যমান গ্যাস সংকট এ সম্ভাবনার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে ব্যক্তি বা দলকে প্রাধান্য না দিয়ে নতুন নীতি কৌশল গ্রহণ করা উচিত। এই মুহূর্তে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্যনীতি যেদিকেই যাক, সেটি তাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে। এখন শুধু অপেক্ষা ট্রাম্পের কার্যক্রম কোন দিকে মোড় নেয় সেটির দিকে।