চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: খুলনার ছোট্ট জেলা নড়াইলের চিত্রা নদীর পাড়ে বেড়ে ওঠা মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ক্রিকেটের বাইশগজ। বিশ্বের তাবৎ ব্যাটারদের ঘায়েল করা এই পেসারের নামের সঙ্গে একটা সময় জুড়ে যায় ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ উপাধি। জাতীয় দলের ক্রিকেটার, অধিনায়কের পর এখন নড়াইলের একটি আসনের সংসদ সদস্যও তিনি।
নড়াইল এক্সপ্রেস নামে পরিচিত পাওয়া মাশরাফি পরবর্তীতে এই নামেই একটা ফাউন্ডেশন চালু করেন। বর্তমানে যে প্রতিষ্ঠান থেকে দরিদ্রদের সহায়তা প্রদান করা হয়। তবে এই নাম ব্যবহার করেই এবার প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা থেকে নড়াইলে যাতায়াত করা একটি বাস পরিবহনের নাম নড়াইল এক্সপ্রেস। সেই বাস কর্তৃপক্ষ মাশরাফির অনুমতি ব্যতিরেখেই তাদের কাউন্টারে সাবেক এই ক্রিকেটারের ছবি টানিয়ে রেখেছেন। এদিকে, ঈদের সময় দূরপাল্লার যানবাহনে ভাড়া নৈরাজ্য কারও অজানা নয়। এক্ষেত্রে অনেকেই মনে করছেন, বাসটির ভাড়া বৃদ্ধির পেছনে মাশরাফিও জড়িত থাকতে পারেন।
যেকোনো মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে থাক, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ
এবার সেই বাস মালিকদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাশরাফি। জানিয়েছেন, মানুষকে সঠিক তথ্য দেওয়া না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে মাশরাফি লিখেছেন, ‘নড়াইল এক্সপ্রেস বাসের সম্মানিত মালিকগণ আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ঢাকায় আপনাদের বাস কাউন্টারে আমার ছবি টানিয়ে রেখেছেন আবার যাত্রীদের বলছেন আমার কথা। এ সমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকুন।’
মাশরাফির নাম ও ছবি দেখে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন এই বাস অপারেটরকে মাশরাফির মালিকানাধীন ভেবে। মাশরাফি তার পোস্টে হুঁশিয়ার করে লিখেছেন, ‘পুরো নড়াইল আমার পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, যে আমি নড়াইল এক্সপ্রেস নাম নিয়ে কমপ্লেন দেব। তবে আপনারা আমার নাম ব্যাবহার কেন করছেন এর উত্তর কি দিতে পারবেন? দ্রুত এ ছবি সরিয়ে মানুষদের সঠিক তথ্য দিন; না হলে হয়তো আমাকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জাস্ট সফট রিমাইন্ডার। এরপর আর সুযোগ দেব না। ঈদ মোবারক।’