শিরোনাম

মাহমুদউল্লাহর শেষের ঝড়ে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি

Views: 64

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : যখন ক্রিজে এসেছিলেন, ১৭৯ রানে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের। সেখান থেকে দেখেশুনে এগোলেন। শেষের দিকে তো ব্যাট হাতে ঝড়ই তুললেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

৩৬ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে হাঁকালেন তিনটি করে চার-ছক্কা। মাহমুদউল্লাহর এই শেষের চেষ্টা আর তানজিদ তামিম আর লিটন দাসের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ২৫৬ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ২৫৭।

অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই। বাংলাদেশ কেমন করবে এমন একটা শঙ্কা ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল। এমন যখন পরিস্থিতি, তখন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

পুনেতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান তামিম। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৬৩ রান তুলে ফেলেন ছোট তামিম এবং লিটন দাস। ১০ম ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে টানা দুটি ছক্কা এবং একটি বাউন্ডারি মারেন তানজিদ তামিম।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ে অন্যতম অবদান রেখেছিলেন তানজিদ তামিম। দারুণ সম্ভাবনাময়ী ব্যাটার। কিন্তু জাতীয় দলে জায়গায় পাওয়ার পর কেন যেন নিজেকে মেলেই ধরতে পারছিলেন না। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেকেই শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি।

এরপর আরও ৭ ম্যাচে সুযোগ দেয়া হয়েছিলো তাকে; কিন্তু খোলস ছেড়ে বের হতেই পারছিলেন না তিনি। সর্বোচ্চ রান ১৬। এমন পরিস্থিতিতে তানজিদ তামিমকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপে মেহেদী হাসান মিরাজকে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে খেলানোর দাবিও উঠেছিলো জোরালোভাবে।

কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট তার ওপরই আস্থা রাখছিলো। শেষ পর্যন্ত সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ভারতের বিপক্ষে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত ঝড় তোলেন তানজিদ হাসান তামিম।

ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে ৪১ বলেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই তরুণ ওপেনার। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। তবে ঝোড়ো ফিফটি করার পর কুলদিপ যাদবের এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ৪৩ বলে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান।

এরপর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি শান্ত। ১৭ বলে ৮ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ আউটে ফেরেন তিনি।

প্রমোশন পেয়ে চার নম্বরে আসা মেহেদী হাসান মিরাজও ব্যর্থ। ১৩ বলে ৩ রান করে তিনি মোহাম্মদ সিরাজের লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে বসেন। ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল। ১২৯ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর লিটন দাস ফিফটি করে সাজঘরে ফেরেন। জাদেজাকে লংঅফে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন লিটন। ৮২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে করেন ৬৬ রান। ১৩৭ রান তুলতে হারায় ৪ উইকেট।

সেখান থেকে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৫৮ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। যদিও এই জুটিতে মূল অবদান মুশফিকেরই। হৃদয় ভীষণ ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছেন।

মন্থর ব্যাটিং করে যখন সেট হলেন, তখনই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসলেন হৃদয়। ৩৫ বলে ১৬ রান করে শার্দুল ঠাকুরের শিকার হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

মুশফিকুর রহিম ফিরেছেন জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে। বুমরাহর বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাজপাখির মতো এক ক্যাচ নেন জাদেজা। ৪৬ বলে মুশফিকের ৩৮ রানের ইনিংসটিতে ছিল একটি করে চার-ছক্কার মার।

নাসুম আহমেদ ১৮ বলে ১৪ করে শেষের দিকে মাহমুদউল্লাহকে ভালো সঙ্গ দেন। আর ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকান শরিফুল ইসলাম (৩ বলে ৭)।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *