শিরোনাম

মা হতে ভালো লাগে, তাই গর্ভ ভাড়া দেন মার্কিন তরুনী

Views: 36

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার এক মা গর্ভধারণ করাকে এতটাই পছন্দ করেন যে, এখন তিনি অর্থের বিনিময়ে বাবা-মা হতে চাওয়া দম্পতিদের কাছে গর্ভ ভাড়া দেন। আর এ জন্য তিনি নেন বাংলাদেশি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার বেশি।

২৬ বছর বয়সী ইয়েসেনিয়া ল্যাটোরে এখন পর্যন্ত তিনটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তার মধ্যে দুই সন্তান তার নিজের। ইয়েসেনিয়া বলেছেন, যে মেয়েরা স্বাভাবিক ভাবে মা হতে পারেন না, তাদের জন্যই আমার এই প্রচেষ্টা। আমি এখন পর্যন্ত তিনটি সন্তানের জন্ম দিয়েছি। তার মধ্যে দুটি আমার নিজের। আর অন্যটি এক দম্পতির।

তিনি বলেন, আমি খুব শিগগিরই আবারও গর্ভ ভাড়া দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। এটার জন্য আমার আর তর সইছে না। মার্কিন এই তরুণী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে নিজের এই শখের কথা জানাতেই তা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। টিকটকে তার ফলোয়ার আছে ২ লাখ ২২ হাজার ৭০০ জনের বেশি।

বাবা-মা হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে প্রায় শতাধিক দম্পতি যোগাযোগ করেন ইয়েসেনিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, মানুষ বুঝেছে সারোগেসি মানেই শুধু অর্থ উপার্জন নয়। অবশ্যই নিজের পরিচর্যার জন্য অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। তার বেশি কিছু নয়। আমার কাছে পরিবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেসব দম্পতিরা সন্তান হচ্ছে না বলে হতাশায় রয়েছেন, সেই সব দম্পতিদের হাতে সন্তান তুলে দিতে পেরে আমি গর্বিত।

ইয়েসেনিয়া ২০১৭ সালে প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। প্রথমবারের অভিজ্ঞতায় তার মা হওয়ার এই যাত্রাপথ এতটাই ভালো লাগে যে, সন্তানের জন্ম দেওয়াই তার শখে পরিণত হয়।

ইয়েসেনিয়া বলেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের কাছে যাওয়া, শরীরের মধ্যে ধীরে ধীরে ভ্রূণের বেড়ে ওঠা এবং তার অস্তিত্ব অনুভব করার যে আনন্দ, সেই সব কিছু আমার ভালো লাগে।

২০১৮ সালে আবার ইয়েসিনিয়া দ্বিতীয়বারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা হন। দুর্ভাগ্যবশত সেই সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখতে পারেনি। সেই ঘটনাই ইয়েসেনিয়াকে গর্ভ ভাড়া দিতে উৎসাহিত করে।

তবে সারোগেসি পদ্ধতির নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত সন্তান জন্ম দেওয়ার পর ‘ধারক’ মা ওই শিশুটির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখতে পারেন না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ওই তরুণী সেই সব দম্পতিকেই গর্ভ ভাড়া দেন, যারা ভবিষ্যতে জন্ম দেওয়া শিশুটির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে অনুমতি দেবেন।

নিউইর্য়ক টাইমস অবলম্বনে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *