পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে দুই রাউন্ড গুলি ও একটি বিদেশি পিস্তলসহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ফরাজীকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার অনু স্থানীয় বিএনপি সভাপতিকে দায়ী করে গত ১০ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
এরই প্রতিবাদে শুক্রবার মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নু। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল না।
তিনি আরও জানান, “গত ৭ নভেম্বর রাতে মো. জাহাঙ্গীর আলম ফরাজীকে যৌথ বাহিনী তার নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। এরপর তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার অনু আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন, যা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আহসানুল্লাহ পিন্টু, মো. ফারুক মুন্সী, মো. আইয়ুব খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম শামীমসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের নেতারা জানান, দলীয় অন্তঃকলহের কারণে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে।