পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার ০৫ নং কাকরাবুনিয়া ইউনিয়নের বৈদ্যপাশা গ্রামের ০৫ একর ৭৪ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ উঠেছে ।
মির্জাগঞ্জ ০৬ নং মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান সিনিয়র সহঃ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে বাবুল হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, এ জমি আমার বাবার হওয়া সত্ত্বেও আমরা জমির ধারে কাছে যেতে পারি না। আমি একাধিকবার মির্জাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি কিন্তু কোন কাজে আসেনি বরং আমি মামলা করতে গেলে কিছু চিহ্নিত ভূমিদস্য মোঃ কবির হাং সহ আরো ১০/১২ লোক আমাকে প্রাননাশের হুমকি দেয় যে, আমি এবং আমার ভাইদের কাউকে জমির আশে পাশে পেলে মাথার কল্যা কেটে রেখে দিবে।
হুমকি দেওয়ার সময় আমার সাথে ০৬ নং মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন টুকু মিয়া, মোতালেব ব্যাপারী সহ আরও ০৩/০৪ জন লোক উপস্থিত ছিল।
তিনি আরো বলেন, হুমকির কারনে আমি এখন মৃত্যু মাথায় নিয়ে চলাফেরা করি, কলম সৈনিক ভাইয়েরা আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন তারা ভূমি দস্যু ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক, তারা সব সময় হাতে দেশীও অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে, তারা কোন আইন কানুন মানে না।
উল্লেখ্য, ঐ জমিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা চলমান, যার নং ২৯০/২০২৪। গত ২২/০১/২০২৪ ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালত একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা সত্ত্বেও তারা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আমাদের জমির ধান ও গাছপালা কেটে বিক্রি করেন জনৈক কবির হাওলাদার। তিনি প্রকাশ্যে বলে বেড়ান আমি এই নিষেধাজ্ঞ মানি না।
বৈদপাশা জমির মৌজার খতিয়ান নং ৩৩০ এবং দাগ নং ৫৯৪, ৫৯৫, ৫৯৬, ৫৯৭, ৬০৩, ৬০২, ৬১৪, ৬১৫।আরও জানা যায়, মরহুম খোরশেদ আলমের মৃত্যুর পরে ওয়ারিশ সূত্রে রেকর্ড প্রাপ্ত হন তার ছেলেমেয়েরা।
দীর্ঘ বছর ধরে ওই জমি জোরপূর্বক চাষাবাদ করে মোঃ কবির হাং, সোহাগ হাং, রহিম হাং আলগীর হাং, শহিদুল হাং, মিজানুর হাং, আরিফ হাং,স্বপন হাং, আলতাফ হাং,রাজ্জাক মুন্সি, রহিম মুন্সি, ও আঃ রব খাঁ।
মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।