বরিশাল অফিস:: মুক্তিযুদ্ধে বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছেন জিয়াউর রহমান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দলটির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির নেতারা যে বলে পঁচিশে মার্চ রাতে আওয়ামী লীগের সবাই পালিয়ে গেছে, তাহলে যুদ্ধটা করলো কে? বিজয়টা আনলো কে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার গঠন করে যুদ্ধ পরিচালনা করা, শুধু পরিচালনা না সশস্ত্র বাহিনী গঠন করা। বিভিন্ন সেক্টর গঠন করা। সেই সেক্টরের একটির দায়িত্ব পায় জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান তো সেখানে একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে অধিনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলো জিয়াউর রহমান। এই কথা তাদের ভুলে গেলে চলবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্তরের নির্বাচনে জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদে বিজয়ী সদস্যরাই কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করে। রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ। এই সরকার গঠন করে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে শপথ নিলেন। শপথ নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করলেন এই সরকার। যেহেতু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন, তার সাথে সাথেই তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হলো।
তিনি বলেন, এটা ভুললে চলবে না, স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান ছিল একজন মেজর। জিয়াউর রহমানের জন্ম হলো কলকাতায়। তার পরিবার যখন পাকিস্তান ভারত ভাগ হয় তখন পাকিস্তানে ফিরে আসে। সে কিন্তু পূর্ববঙ্গে আসেনি। তারা গিয়েছিলো করাচিতে। সেখানেই পড়াশোনা করে। সেখানে আর্মিতে যোগ দেয়। সেখান থেকে কার্যাদেশ পেয়ে পূর্ববঙ্গে এসেছিলো দায়িত্ব পালন করতে। এটাই বাস্তবতা। তার মনে তো ওই পাকিস্তানটা রয়ে গেছে। তার প্রমাণও আছে। মেজর থেকে যে একে একে প্রমোশন পেলো এই প্রমোশনগুলো কে দিয়েছে? এটাও তো আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দিয়েছে। এই অকৃতজ্ঞরা সেটাও হয়তো ভুলে যায়।