চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতায় ফলোঅনের শঙ্কায় পড়েছে দল। যদিও তাইজুল ইসলাম ও মুমিনুল হক চেষ্টা করছেন দলকে টেনে তুলতে। ইতোমধ্যেই ব্যক্তিগত ফিফটি পেয়েছেন মুমিনুল।
লাঞ্চ বিরতির আগে পর্যন্ত ৩৭ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করেছে বাংলাদেশ। এখনও দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৪৩৮ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা।
৪ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। গতকাল ঠিক যেখানে শেষ করেছিল স্বাগতিকরা, আজ ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছে। দিন বদলালেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে বদল আসেনি। আজ আর ১০ রান যোগ করতেই আরো চার ব্যাটারকে হারিয়েছে তারা। সবমিলিয়ে দলীয় ফিফটির আগেই সাজঘরে ফিরেছেন ৮ ব্যাটার।
গতকালের দুই অপরাজিত ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক আজ দিনের শুরু করেন। ব্যাট হাতে অফফর্মে থাকা বাংলাদেশ ব্যাটার সকালে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। কাগিসো রাবাদার বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তিনি ফিরেছেন ৯ রানে।
অভিজ্ঞ মুশফিক উইকেটে এলেন আর গেলেন। মাঝে টিকতে পেরেছেন কেবল ২ বল। ড্যান প্যাটেরসনের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। মুশফিক ডাক খেয়ে ফিরলে উইকেটে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনফর্ম এই ব্যাটার ৩ বল খেলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি।
মিরাজ ফেরার এক বল পরই মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকেও ফিরিয়েছেন রাবাদ। অভিষেক ইনিংসে সিলভার ডাক খেয়েছেন তিনি। তাতে ৪ উইকেটে ৪৬ থেকে ২ রান যোগ করতেই আরো ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অঙ্কনকে আউট করে ইনিংসে ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন রাবাদা।
৪৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলার চেষ্টা করছেন মুমিনুল ও তাইজুল। দুজনে মিলে নবম উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৮৯ রান যোগ করেছেন তারা। মুমিনুল ৭৬ বলে ফিফটি স্পর্শ করেছেন।
এই টেস্টে ফলোঅন এড়াতে হলে বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে অন্তত ৩৭৬ রান করতে হবে।