চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : সকালে নতুন বলের ফাঁড়া কাটাতে পারেননি ওপেনার জাকির আলী। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত বল পুরনো বানালেও রান পাননি। আবার মুমিনুল হক সাবলীল খেললেও ফিফটি করেই সাজঘরে ফেরেন। হতাশা আরও বেড়ে যায় সাদমান ইসলাম সেঞ্চুরি মিস করলে। তবে শেষ বিকেলে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস ফিফটি করে এবং দলের রান তিনশ’র উপরে নিয়ে স্বস্তি এনে দিয়েছেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৯২ ওভার ব্যাটিং করে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১৬ রান করেছে। দলের সেরা টেস্ট ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ৫৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করবেন। তিনি ১২২ বল খেলে ৭ চারের শটে ওই রান করেছেন। লিটন দাস কর্তৃত্ব করে ৫৮ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত আছেন। তার ব্যাট থেকে আটটি চার ও একটি ছক্কা এসেছে। পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ ১৩২ রানে পিছিয়ে আছে।
বাংলাদেশ ১২ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ২৭ রান তুলে দিন শেষ করে। সকালে জাকির ৫৮ বলে ১২ রান করে ফিরে যান। শান্ত ৪২ বলে ১৬ রান যোগ করেন বোল্ড হন। এরপর ওপেনার সাদমান ও চারে নামা মুমিনুল হক ৯৪ রানের জুটি গড়েন। মুমিনুল ৭৬ বলে ৫ চারের শটে ৫০ রান করে বোল্ড হন। মুশফিকের সঙ্গে ৫২ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন সাদমান। তিনি ১৪ টেস্টের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেরা ৯৩ রানের ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশ ১৯৯ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট।
পরেই ক্রিজে এসে আউট হন বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি ১৬ বলে ১৫ রান যোগ করেন। দলের রান তখন ২১৮। ওই জায়গা থেকে ধসে যাওয়ার সুযোগ ছিল বৈকি। কিন্তু মুশফিক ও লিটন ৯৮ রান যোগ করে শুধু দিন শেষ করেননি দলে স্বস্তি এনে দিয়েছেন। চতুর্থ দিন ওই জুটি জমলে সহজে লিডের আশা করতে পারে বাংলাদেশ।
এর আগে পিন্ডি টেস্টে টস হেরে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। ১৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর সূদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ান দুর্দান্ত জুটি গড়ে ওই রান করেন। শাকিল খেলেন ২৬১ বলে ১৪১ রানের ইনিংস। রিজওয়ান ২৩৯ বল খেলে ১৭১ রান করেন। এছাড়া সাইম আইয়ূব ৫৬ রান যোগ করেন। বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ ও শরিফুল দুটি করে উইকেট নেন। পাকিস্তানের খুররম শাহজাদ দুই উইকেট নিয়েছেন। মোহাম্মদ আলী, নাসিম শাহ ও সাইম একটি করে উইকেট নিয়েছেন।