শিরোনাম

মৌমিতার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, যা জানা গেল

Views: 19

চন্দ্রদ্বীপ আন্তর্জাতিক :: আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার মৌমিতার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সামনে এনেছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনে এই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

কলকাতার মাল্টি সুপার স্পেশালিটি সরকারি হাসপাতাল আরজি করে মৌমিতা নামে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় নজিরবিহীন প্রতিবাদ দেখছে ভারত। দোষীদের শাস্তির দাবিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

মৌমিতার ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, তার দেহে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। ‘যৌন হেনস্থা’র প্রমাণও মিলেছে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। এমনকি, তার যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক কিছু প্রবেশ করানো হয়েছিল।

নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ হারানো মৌমিতার শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। মাথা, গাল, ঠোঁট, নাক, ডান চোয়াল, চিবুক, গলা, বাঁ হাত, বাঁ কাঁধ, বাঁ হাঁটু, গোড়ালি এবং যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, তার ফুসফুসে রক্ত জমাট (হেমারেজ) বেঁধেছিল। শরীরে আরও কিছু অংশেও জমাট বেঁধে ছিল রক্ত। তাকে যে শ্বাসরোধ করে ‘খুন’ করা হয়েছে রিপোর্টে লেখা রয়েছে তা-ও।

একাধিক মহল থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, নির্যাতিতার দেহে ‘১৫০ গ্রাম সিমেন’ মিলেছে। কলকাতা হাইকোর্টে তার পরিবার যে পিটিশন দায়ের করেছে, সেখানেও এই বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ‘সিমেন’ সংক্রান্ত কোনও উল্লেখ নেই। রিপোর্টে

রিপোর্টে ‘এক্সটারন্যাল ও ইন্টারন্যাল জেনিটালিয়া’ কলমে লেখা হয়েছে, ওজন ‘১৫১ গ্রাম’। প্রসঙ্গত, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নিয়ম মেনে মৃতদেহের বিভিন্ন অংশের ওজন উল্লেখ করা হয়। এ

বিভিন্ন মহল থেকে নির্যাতিতার শরীরের একাধিক হাড় ভাঙার যে সব কথা উঠে আসছিল, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তেমন হাড় ভাঙার কোনও উল্লেখ নেই। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘শ্বাসরোধ করার কারণে মৃত্যু। মৃত্যুর ধরন খুন। যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক কিছু প্রবেশ করানোর মেডিক্যাল প্রমাণও রয়েছে। যৌন হেনস্থার সম্ভাবনা।’

গত ৯ আগস্ট সকালে আরজি কর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হলে মৌমিতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, যিনি পেশায় ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার। হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *