শিরোনাম

যাত্রী থাকলেও নেই ঢাকা-বরিশাল আকাশ পথে পর্যাপ্ত ফ্লাইট

Views: 27

বরিশাল অফিস :: ঢাকা-বরিশাল আকাশ পথে পর্যাপ্ত যাত্রী থাকলেও কোনো কারণ ছাড়াই এ রুটে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একের পর এক ফ্লাইট। আগে এ রুটে প্রতিদিন আটটি করে ফ্লাইট চলাচল করলেও এখন সপ্তাহে তিনদিন চলছে মাত্র দুটি করে ফ্লাইট। ফলে কম সময়ে দ্রুত যাতায়াত করতে না পেরে চরম ভোগান্তি আর ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।

বরিশাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু চালুর আগে দৈনিক চারটি করে ফ্লাইট চালাত ইউএস-বাংলা। দুটি করে ফ্লাইট ছিল বাংলাদেশ বিমান ও নভোএয়ারের। হঠাৎ প্লেন সংকটের কারণ দেখিয়ে প্রথমে এই রুটে ফ্লাইট বন্ধ করে নভোএয়ার। পরে একই পথে হাঁটে ইউএস-বাংলা। প্রথমে তারা দৈনিক চারটি ফ্লাইট থেকে কমিয়ে করে দুটি। পরে যাত্রী সংকটের কথা বলে সেই দুটিও বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ বিমান প্রতিদিন তাদের ফ্লাইট চালু রাখে। পরে যাত্রী সংকটের অজুহাতে তারাও সপ্তাহে তিনদিন (বৃহস্পতি, শুক্র ও রোববার) ফ্লাইট চালাতে শুরু করে।

ঢাকা-বরিশাল আকাশ পথের যাত্রী ইমরান সিকদার সালাউদ্দিন বলেন, বুধবার জরুরি ঢাকা যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেদিন কোনো ফ্লাইট না থাকায় বৃহস্পতিবার যেতে হয়েছে। সেজন্য কাজের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রায় সময়ই কাজের স্বার্থে ঢাকা যেতে হয়। এজন্য কম সময়ে পৌঁছাতে আকাশ পথেই যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবারও বাংলাদেশ বিমান পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে ঢাকা যায়। এভাবে প্রতিটি ফ্লাইট দাপট নিয়ে চলাচল করছে। তারপরও কেন এ রুটে ফ্লাইট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বুঝি না।

আরেক যাত্রী বেঙ্গল বিস্কুট ফ্যাক্টরির ম্যানেজার আব্দুর রহমান বলেন, প্রতিদিন ফ্লাইট না থাকায় ব্যবসায়িকভাবেও আমাদের অনেক লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সপ্তাহের তিনদিন অসময়ে ফ্লাইট থাকায় বায়াররা আসতে পারছে না। এ রুটে প্রতিদিন চলাচল করার মতো পর্যাপ্ত যাত্রী রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনা করে এ পথে প্রতিদিন ফ্লাইট চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই।

ব্যবসায়ী নূরুল আমিন বলেন, অন্যান্য রুটের চেয়ে ঢাকা-বরিশাল রুটে অর্ধেক সময় লাগলেও বিমান কর্তৃপক্ষ সমান ভাড়া নিচ্ছে। তারপর কেন এই রুটে লোকসানের দোহাই দিয়ে ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে জানি না। অচিরেই সব কোম্পানি প্রতিদিন এ পথে ফ্লাইট চালু করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি।

এ ব্যাপারে জানতে ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের দায়িত্বরতদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ বিমানের বরিশাল বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান,পদ্মা সেতু চালুর আগে যথেষ্ট যাত্রী ছিল, বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে। এখন সপ্তাহে তিনদিন চললেও সব দিন পর্যাপ্ত যাত্রী থাকে না। মাঝে মাঝে পরিপূর্ণ যাত্রী হয়। আর ফ্লাইট বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়টা বিমান কর্তৃপক্ষ জানে।

বরিশাল বিমানবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-বরিশাল রুটে যে যাত্রী রয়েছে তাতে বিমান কর্তৃপক্ষ ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াতে পারে। আগে প্রতিদিন ফ্লাইট ছিল, পর্যাপ্ত যাত্রীও ছিল। এখন ফ্লাইট বাড়ালে পুনরায় যাত্রীর সংখ্যাও বাড়বে। যাত্রীদের সেবা দিতে বরিশাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বদা প্রস্তুত। এছাড়া বরিশাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য বর্ধনে কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *